প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দিনাজপুরের খানসামায় কপাল পুড়েছে কৃষকের। লাভের আশায় উৎপাদিত সবজি এখন পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে সবজী ক্রেতারা খুশি হলেও চরম হতাশায় কৃষকরা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গনপরিবহন বন্ধ থাকায় স্থানীয় সবজি বাজারগুলোতে পাইকাররা আসতে না পারায় এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা কমে যাওয়ায় মূলত সবজির দাম কমে গেছে। এতে কৃষকরা আশানুরুপ দাম না পেয়ে লোকসান গুনছে আর সবজি বিক্রি করে জমি থেকে ওঠানো ও পরিবহন খরচ না ওঠায় অনেক স্থানে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায়, পুরো উপজেলায় এবছর ৫০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পাকেরহাট গ্রোয়ার্স মার্কেটে পাইকারী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো ৪ টাকা,শসা প্রতিকেজি ৩টাকা,বেগুন প্রতিকেজি ৪টাকা,পটল প্রতিকেজি ২০ টাকা,ঢেঁড়স প্রতিকেজি ১৮ টাকা,ঝিঙ্গা প্রতিকেজি ১৫ টাকা,মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা লাউ ১৫ টাকা এবং কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৫টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আর খুচরা বাজারগুলোতে এর চেয়ে ২-৩ টাকা বেশী দরে সবজীগুলো বিক্রি হচ্ছে ।
সবজী বিক্রি করতে আসা ছাতিয়ানগড় গ্রামের টমেটো চাষী সুবত রায় জানান, গতবার এই এই টমেটো ২০ টাকা কেজি আর এবার ৪টাকা এই ক্ষতি ক্যামনে পূরণ হবে ভগবান জানে??
পাকেরহাট গ্রামের করলা চাষী মোখলেছুর বলেন, এক কাপ চায়ের দামে দুই কেজি করলা বেচাছু তাহো কিনির লোক নাই তাইলে হামার কি হইবে??
পাকেরহাট সরকারী কলেজের কৃষি বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক বিবেকানন্দ অধিকারী জানান,সবজীর এত কম দামের ফলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে এলাকায় সবজির কোল্ড স্টোরেজ প্রয়োজন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় সবজীর দাম গত বছরের তুলনায় কম। তবে কৃষকদের ক্ষতি পূরণ করতে চলমান খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে কম পচনশীল সবজী অন্তভূর্ক্ত করা যেতে পারে।