করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ঈশ্বরদীর শতাধিক স্বর্ণ শিল্পী মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব স্বর্ণ শিল্পী যাদের স্থানীয়ভাবে কারিগর বলা হয়। বিগত মাসাধিক সময় ধরে এদের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। এরা বেতন ভূক্ত নয়। কাজ করলে মজুরি পায়। এখন সোনা বা চাঁদির সকল কাজই বন্ধ। কোন কাজ না করতে পারায় পুঁজি যতটুকু ছিলো ভেঙ্গে খেয়েছে। নিজেদের এই দুরবস্থার এই কারিগররা কাউকে বলতেও পারছে না। এরা কোনদিনও কারো কাছে হাত পাতেনি। তাই হাতও পাততে তারা জানে না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা সরকারের ত্রাণ বিতরণ করছেন, তারাও এদের কোন খোঁজ-খবর নেয়নি। এই অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঈশ্বরদীর শতাধিক স্বর্ণের কারিগর না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।
কর্মকারপাড়া ও নূরমহল্লা এলাকায় স্বর্ণশিল্পীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারিগররা মূলত: জুয়েলারী ও বড় দোকানের অর্ডারের কাজগুলো করে দেয়। এদের কেউ গড়িত, কেউ সিলা, নকশা, সেটিংসহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকে। কারিগরদের পাশাপাশি ছোট ছোট দোকানদারও এসব কাজের সাথে জড়িত। করোনা পরিস্থিতির আগে দফায় দফায় সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকমাস যাবত এসব কারিগরদের র্দুদিন চলছিল। এই সময়েই তারা পুঁজি ভেঙ্গে খেতে খেতে সর্বশান্ত হয়েছে। এরইমধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে পড়ে জুয়েলারীসহ সোনার কাজের সকল দোকানপাঠ মাসাধিক সময় ধরে বন্ধ থাকায় এদের অবস্থা এখন চরম সংকটাপন্ন ।
এবিষয়ে স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন কর্মকার জানান, স্বর্ণের কারিগররা কোনদিন কারো কাছে হাত পাতে নি। এরা হাত পাততেও জানে না। না খেয়ে মরে গেলেও স্বর্ণের কারিগরররা কোন দিন কারো কাছে হাত পাতবে না। তিনি বলেন, শুনছি সরকার বিভিন্ন এলাকায় সাহায্য সহযোগিতা করছে। কিন্তু কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের লোক তাঁদের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ তো দূরের কথা খোঁজখবরও ন্য়েনি। ##