এম
এ কাদির চৌধুরী ফারহান: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বুধবার থেকে কালবৈশাখী ঝড়ে
বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিবাগত রাতের বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা
বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ঝড়ে ৫টি খুটি ভেঙ্গে যায়, বিকল হয় দুটি
ট্রান্সফরমার।
বুধবার
বিকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর
পর্যন্ত ১৮ ঘন্টা ও রাত ২টা থেকে শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৪ ঘন্টা
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)
কমলগঞ্জের অধীন ৯৬ হাজার গ্রাহক দুর্ভোগে পড়েছেন।
পবিস
কমলগঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ২টার পর আকস্মিকভাবে কমলগঞ্জে
কালবৈশাখী ঝড় বইতে শুরু করে। ৩০ মিনিটের বৈশাখী ঝড়ে আলীনগর ইউনিয়নের
তিলকপুর এলাকায় ৫টি বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে পড়ে। একই সাথে দুটি বৈদ্যুতিক
ট্রান্সফরমার বিকল হয়, তার সাথে কুলাউড়া গ্রীড লাইনের ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক
লাইনের অনেক স্থানে গাছ ভেঙ্গে পড়লে বুধবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা
পর্যন্ত ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহিন ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত
লাইন মেরামতের পর সন্ধ্যা ৭টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এ দিকে
বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়ে পূনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এসময়
৩৩ কেভি লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল
থেকে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করে সকাল সাড়ে ১১টায় ও শনিবার বিকাল ৪টার
পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ আবারও স্বাভাবিক হয়।
পবিস কমলগঞ্জ কার্যালয়ের এজি এম (কম) ওবায়দুল হক বলেন, ক’দিনের কালবৈশাখী ঝড়ে আলীনগর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে ১১০০ কেবি লাইনের ৫টি বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে পড়ে। তার সাথে দুটি ট্রান্সফরমার বিনষ্ট হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত ২টার সময় বৃষ্টি হলে বিজলি চমকানোসহ ঝড় তুফানের কারণে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা ও রাত থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত পবিস কমলগঞ্জ কার্যালয়ের অধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তিনি আরও বলেন ঝড় ও দমকা হাওয়ায বিদ্যুৎ চমকালে ও বজ্রপাত শুরু হলে বাধ্য হয়ে গ্রীড লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। অন্যতায় ক্ষতির পরিমান বেশি হত।