করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমনের ঝুকি মোকাবেলা ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলাকে সম্পূর্নভাবে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। করোনা ভারিাস প্রতিরো“ধ কমিটি’র এক সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে নওগাঁ জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষনা করা হয়।
এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলার জাতীয়, আঞ্চলিক সড়ক মহা-সড়ক,নৌপথ বা অন্য যে কোন পথে কোন ব্যক্তি এ জেলায় প্রবেশ এবং বাহির হতে পারবেন না। তবে জরুরী পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ ইত্যাদি এই অবরুদ্ধ কর্মসূচীর বাইরে থাকবে।
লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করতে নওগাঁ জেলায় প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সড়ক সমুহে ম্যাজিষ্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যপক তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। পথচারীদের এসব প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য এ জেলায় এখনও করোনা সনাক্ত না হলেও ভবিষ্যতে যাতে না হয় তারই আগাম ব্যবস্থা হিসেবে এই লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন।
অপরদিকে সিভিল সার্জন ডাঃ আকন্দ মোঃ আখতারুজ্জামান আলাল জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় নওগাঁ জেলায় নতুন করে আরও ৯৪ জনকে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। এই সময়ে ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং সম্পূর্ন সুস্থ্য থাকায় মোট ৪০ জনকে েেহাম কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৭১০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ২ জন। উল্লেখ্য শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৭শ ২১ জনকে হোম কোয়ানেটাইনে এবং ২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ দিনের মেয়াদ মেষ হওয়ায় ২ হাজার ১০ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাঁরা সবাই সুস্থ্য রয়েছেন।
সিভিলসাজর্ন অফিস সুত্রে আরও জানা গেছে, নওগাঁ জেলা থেকে এ পর্যন্ত ১৯৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত এদের মধ্যে ১৪৫ জনের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এদের কারও মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্বর্গ পাওয়া যায় নি।