করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরশহরে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পুরো শহর লকডাউনের পরে মঙ্গলবার থেকে শহরে মানুষ প্রবেশের জন্য সকল প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে গেট। জরুরী প্রয়োজনে শহরে আগত প্রতিটি মানুষকে এই গেট দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে। গেটে প্রবেশের সময় প্রত্যেকের শরীরের গলা থেকে পা পর্যন্ত পোশাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ব্লিসিং পাউডারের এই তরল স্প্রে যেকোনো ধরনের ভাইরাস রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে বলে দাবি পৌর কর্তৃপক্ষের।
ভাঙ্গুড়া পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশে করোনো রোগী শনাক্তের পরই শহরের গুরুত্বপূর্ণ দশটি পয়েন্টে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে পুরো শহরের প্রবেশ সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে লকডাউন করে দেওয়া হয়। সড়কে সড়কে ছিটানো হয় জীবাননাশক। একইসাথে শহরের সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর লোকজন সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে এসে জনসমাগম ঘটায়। এতে বাধ্য হয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ কাঁচা বাজার স্থানান্তর করে উন্মুক্ত স্কুল মাঠে নিয়ে যায়। এছাড়া প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা শহরের বাসিন্দাদের করোনা প্রতিরোধে সচেতন করতে পাড়ায়-মহল্লায় হ্যান্ডমাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রচার করে যাচ্ছেন। পৌর মেয়র নিজস্ব উদ্যোগে শহরের চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পিপিই এর ব্যবস্থা করে দেন। সর্বশেষ শহরে প্রবেশদ্বারের পাঁচটি সড়কে গেটে মানুষের শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করে শহরে প্রবেশের সময় জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌর কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শহরে আগত জনগণ।
ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, মানুষের চলাচল অনেকটা সীমাবদ্ধ করতে পেরেছি। মানুষ এখন ঘরে থাকছে। তবে প্রয়োজনের তাগিদে কিছু মানুষকে বাজারে আসতেই হয়। এ সময় তারা যেন বাজারে প্রবেশের সময় কোনো জীবাণু নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। তার জন্য শহরের প্রবেশের সময় প্রত্যেকের শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এতে বাজারে অবস্থানরত মানুষগুলো অনেকটাই নিরাপদ থাকবে বলে আশা করি।