প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ তহবিল হতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীদের কৃষি, মৎস্য, ডেইরি এবং পোল্ট্রি খাতে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদান করা হবে। কৃষি ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭ টায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃসময়ে আমাদের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা শুধু সচল রাখা নয়, আরও জোরদার করতে হবে। সামনের দিনগুলিতে যাতে কোনপ্রকার খাদ্য সঙ্কট না হয়, সেজন্য আমাদের একখণ্ড জমিও ফেলে রাখা চলবে না। এজন্য কৃষি-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বীজ, সার, কীটনাশকসহ সকল ধরনের কৃষি উপকরণের ঘাটতি যাতে না হয় এবং সময়মত কৃষকের হাতে পৌঁছে – সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
সরকার প্রধান বলেন, কৃষকেরা যাতে উৎপাদিত বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য পান সে জন্য চলতি মওসুমে গত বছরের চেয়ে ২ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান ক্রয় করা হবে। এজন্য অতিরিক্ত ৮৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে আমাদের বাঁচতে হবে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যখন যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নেওয়া হচ্ছে। এ মুহূর্তে আমাদের কোন খাদ্য সঙ্কট নেই। সরকারি গুদামে যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুত রয়েছে, তেমনি রয়েছে গৃহস্থদের ঘরে ঘরে।
করোনার কারণে রেমিটেন্স প্রবাহে স্থবিরতা নেমেছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।