চাটমোহরে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মানছে না জনসাধারণ

পাবনার চাটমোহরে পুলিশের ঢিলা ঢালা শাসনের কারণে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মানছে না চাটমোহরের জনসাধারণ। ১৩ এপ্রিল সোমবার সকাল ৯ টায় সরেজমিন পৌর সদরের নতুন বাজারে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ একে অপরের পাশা পাশি দাড়িয়ে, গা ঘেষা-ঘেষি করে কিনছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ। যেখানে সারাদেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে সেখানে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না চাটমোহরে। চাটমোহরের অন্যান্য বাজার গুলোতেও দেখা যাচ্ছে এমন অবস্থা। অনেকে মাস্ক পরে, অনেকে খালি মুখে নির্বিঘেœ কেনা কাটা করছেন। এমনকি ভ্যানেও চড়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে দুয়ের অধিক মানুষকে। রাস্তায় দেখা যায় ভোরবেলা থেকে ভ্যানচালকরা তিন চার জন প্যাসেঞ্জার নিয়ে ছুটেছে। একে অপর থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অন্যান্য দোকানের সামনে গোল দাগ কেটে এবং দোকানের সামনে রশি ফিতা বেধে রেখে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হলেও কাঁচা বাজারে তা করা হয়নি। নিয়ম মানতে অসচেতন মানুষের অনিহা দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিন পূর্বের তুলনায় রাস্তা ঘাটেও মানুষ চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। চাটমোহরের সচেতন মানুষ আবার পুলিশের শাসন দেখতে চায়, মানুষকে ঘরে তুলে দেয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ রুহুল কুদ্দুস ডলার জানান, জনাকীর্ণ হাট বাজারে যদি কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি এসে থাকেন তবে তার মাধ্যমে এ ভাইরাস অন্যান্যের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, থুথু, কফ এর মাধ্যমে যেহেতু অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেহেতু কাঁচা বাজার গুলোতেও নিদৃষ্ট দূরত্বে গোল দাগ কেটে প্রয়োজনে দীর্ঘ লাইন হলেও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে ঝুঁকি কমবে।

চাটমোহর থানা অফিসার ইনচার্জ সেখ মো. নাসীর উদ্দিন জানান, প্রতিনিয়ত জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি আমরা। তার পরও অনেক মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছি।