কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারী নির্দেশনা মানছে না অনেকেই। সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে মানুষ ইচ্ছামাফিক চলাফেরা করায় সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত সরকারী নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
জানাগেছে, বিশ্বাব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশ সরকার করোনা ভাইরাস হতে জনগনকে রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষনা করে সারা দেশের সাথে যান চলাচল বন্ধ করে মানুষকে ঘরের মধ্যে থাকতে নির্দেশ দেয়। একই সাথে জরুরী প্রয়োজনে বাড়ীর বাহিরে বের হলে সঠিক কারন দর্শানো ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার নির্দেশ দেয় সরকার।
সরকারের উৎকৃষ্ট পদক্ষেপের কারনে করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাব থেকে নিরাপদে আছে সাধারণ মানুষ এমনটাই দাবী করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশেকুল হক।
কিন্তু সাধারণ মানুষ সরকারী নির্দেশনা উপক্ষো করে নিজেদের ইচ্ছা মাফিক অবাধে চলাফেরা করছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে হাজার হাজার লোক জমায়েত হচ্ছে। উপজেলা শহরে কিছুটা সরকারী নির্দেশনা মানলেও গ্রামাঞ্চলে মোটেই মানছে না। গ্রামের চায়ের দোকানে ও রেষ্টুরেন্টে আড্ডা দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক সুরক্ষা। সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার সাধারণ মানুষ। দ্রুত সরকারী নির্দেশনা মানাতে প্রশাসককে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। ১২ এপ্রিল রবিবার খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সরকারী নির্দেশনা না মেনে উপজেলার বাঘমারা, ভেড়াছড়ি, বনগাঁও, সড়ই বাড়ী, বটেরতল, মুন্সিবাজার, ঠাকুরের বাজার , গোপালনগর, আদমপুর, ভাসানি গাঁও, উপজেলা বাজার, আদকানি, রানির বাজার, কালেঙ্গা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে লোকজন জমায়েত হয়ে চায়ের দোকান ও রেষ্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। তারা সামাজিক সুরক্ষা মানছেন না। উপজেলার পৌর শহরেরও একই চিত্র। প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর মধ্যেও সাধারণ মানুষ সরকারী নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত করছে।
সদর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ছইদ আহমেদ বলেন, সরকারী নির্দেশনা কেউই মানছে না। বাজারে এসে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে। মাক্স পরছে না। প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
সচেতনরা বলেন, সরকারী নির্দেশনা উপক্ষো করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে হাজার হাজার লোক জমায়েত হয়। প্রশাসন দেখলে দৌড়দিয়ে চলে যায়, প্রশাসন চলেগেলে পুনরায় ফিরে আসে, দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশেকুল হক বলেন, সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কেউ যদি চলাচল করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সাথেকরে নিয়মিত প্রশাসনিক টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।