ভাঙ্গুড়ায় প্রধান সড়কও আটকে দিয়েছে গ্রামবাসী

করোনার শঙ্কায় পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রবেশের প্রধান সড়ক বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছে গ্রামবাসী। উপজেলার চরপাড়া নামক স্থানে শনিবার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই সড়ক আটকে দেয়া হয়। এতে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি টু পাবনার টেবুনিয়া সড়কে সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। তবে ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। এদিন উপজেলায় প্রবেশের সীমান্তবর্তী আরও তিনটি সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। 
সূত্র জানায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রবেশের জন্য ৪ টি সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে টেবুনিয়া-বাঘাবাড়ী সড়ক, চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া সড়ক ও ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর সড়ক মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যেকোনো ভারী যানবাহন এই তিনটি সড়ক দিয়ে ভাঙ্গুড়ায় প্রবেশ করে। শনিবার সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুমতি সাপেক্ষে এই তিনটি সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসী।
শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাঘাবাড়ী-টেবুনিয়া সড়কে ব্যারিকেড দেয়া ছাড়াও  চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া সড়কের মুন্ডুতোষ গ্রামে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক আটকে রাখা হয়েছে। এছাড়া ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর সড়কের ভবানীপুর গ্রামে গ্রামবাসী একইভাবে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক আটকে দিয়েছে। এতে আশেপাশের উপজেলাসহ কোনো জেলা থেকে যানবাহন প্রবেশ করতে পারছে না ভাঙ্গুড়া শহরে। এছাড়া সাধারণ মানুষের প্রবেশের সময়ও পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তারপরে ব্যারিকেড পার হতে দেয়া হচ্ছে। ব্যারিকেড দেয়া এসব পয়েন্টে ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশরা। ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের সদস্যরাও শনিবার এসব অবরোধের স্থান পরিদর্শন করেন। 
পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হেদায়েতুল হক বলেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলার নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙ্গুড়ায় প্রবেশদ্বার বাঘাবাড়ী টেবুনিয়া সড়কের চরপাড়া গ্রামে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে। তবে কেউ যেন এই অবরোধের কারণে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়েও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউই কথা শুনতে চায়না। এ অবস্থায় লকডাউন অথবা ব্যারিকেড দিয়ে গ্রামবাসী যানবহন ও মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণের করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগী মানুষদেরকে থানা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।