কৈশরের আনন্দ…

ভর বহন সহজতর করতে অনাদিকাল থেকে মানুষ চিন্তা করে আসছে। এর ফলশ্রæতিতেই চাকার আবিষ্কার। গরু, মহিষ, ঘোড়ার গাড়ির জন্য কাঠের চাকা আবিষ্কারের পর কেবল যোগাযোগই সহজতর হয় নি ভর বহনও সহজতর হয়েছে। কালের বিবর্তনে রেলগাড়িতে লাগানো হয়েছে লোহার চাকা। রিকসা, ভ্যান, বাস, ট্রাক এমনকি বিমানেও চাকার ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতিতে চাকার ব্যবহার কৃষি ব্যবস্থাপনাকে করেছে সহজতর। চাকার আধুনিকতা আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করলেও প্রাচীন কাঠের চাকা এখনো বিলুপ্ত হয় নি। আমাদের ভাষা ও সাহিত্যে প্রাচীন ঐতিহ্য গরু মহিষের গাড়ি এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আর এসব গাড়িতে চড়ে, গাড়ির ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টাসহ গাড়ির পেছনের বাঁশ ধরে ঝুলে থাকার চেষ্টা করে আনন্দ পায় কিশোর কিশোরীরা। সম্প্রতি পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর মাঠে গেলে রাস্তায় রেখে দেওয়া একটি গরু/মহিষের গাড়িতে বন্যা, রাবেয়া ও শাহিদা নামক তিন কিশোরীকে কৈশরের আনন্দের জোয়ারে ভাসতে দেখা যায়।