বিশ্বব্যাপি করোনা সংক্রমন জনিত কারণে সরকার ঘোষিত ১ম দফায় ১০ দিন ছুটির পর ২য় দফায় ছুটি বৃৃদ্ধি হওয়ায় জনমনে বেড়েছে আতঙ্ক। আমজনতা এই ছুটিকে অঘোষিত লক-ডাউন হিসেবেই ধরে নিচ্ছে। তবে বসে নেই প্রশাসন এবং সরকারী-বেসরকারী সংগঠনগুলো। প্রতিদিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সরকারী-বেসরকারী সংগঠন জনসাধারণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ সহ সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। ২য় দফা ছুটির প্রথম দিনে আলীকদম বাজার, পান বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেখা গেছে আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীমকে। এসময় তিনি লোকজনকে অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করতে নিরুৎসায়িত করণ, ত্রাণ বিতরণ এবং মাস্ক ব্যবহার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন।
এদিকে গত ২৪ মার্চ থেকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় একজন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর পাশ্ববর্তী লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা অনির্দিষ্ঠকাল লকডাউন ঘোষনা হওয়ার পর এলাকায় হত দরিদ্রদের মধ্যে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। যৎসামান্য অনুদানের ত্রাণ দিয়ে পারিবারিক চাহিদা মেটানো দুরহ হয়ে পড়েছে পিছিয়ে পড়া খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। তবে আরো বিপাকে রয়েছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজন। তাদের খোঁজ খবর রাখছেনা ত্রাণ দাতা সংগঠনগুলো। লোকলজ্জায় হাত বাড়িয়ে নিতে পারছেনা অনুদানের ত্রাণ সমাগ্রী।
অপরদিকে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদ ইকবাল এবং আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী রকিব উদ্দিনকে আলাদা আলাদাভাবে সতর্ককরণ অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে। একই সাথে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আলীকদমের চার ইউনিয়নে ৩.৬ মেঃ টন চাল এবং আলীকদম কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ১০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বান্দরবান পার্বত্য জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।