পেশায় একজন সরকারি চতুর্থ শ্রেনীরকর্মচারী। নাম মো.রতন মুন্সি। গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় পুড়ান পাড়া মহল-ার মরহুম শফিকুল মুন্সির ছেলে। তিনি উপজেলার শিক্ষা সংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত। মাসিক বেতন ১৪হাজার ৪শত ৫০টাকা।এই বেতনে তার সংসার চলে। সংসারে বিধবা মা, সহধমিনী ও এক মেয়ে।
সারাদেশের ন্যায় গুরুদাসপুরেও করোনায় লকডাউনে অনেক শ্রমজীবী মানুষ আজ কর্মহীন হয়ে
দূবিসহ জীবনযাপন করছে।এমন দূর্যোগে তার বাড়ীর আশে পাশে অনেক শ্রমজীবী গরীব মানুষও
একবেলা খেয়ে না খেয়ে দূবিসহ জীবনযাপন করছে। এমতাবস্থা দেখে তার প্রাণ কেঁদে উঠে।
তাই তিনি তার বেতনের অর্ধেক টাকার দিয়ে নিজ হাতে কর্মহীন দশ পরিবারের জন্য বাজার হতে ৪০ কেজি চাল,ডাল ১০ কেজি পেয়াজ ১০ কেজি লবণ ১০ কেজি আলু ২০ কেজি কাঁচামরিচ ৩কেজি, সাবান ২০টা গুড়োসবান ১০প্যাকেট ও মাস্ক কিনে তার কর্মস্থলের নিয়ে এসে ১০টি প্যাকেট করেন।
প্রত্যেক প্যাকেটে ১টি করে মাস্ক,চাল ৪কেজি,২কেজিআলু,১কেজি পেয়াজ,১কেজি লবণ ১কেজি ডাল,২টি সাবান,১প্যাকেট গুড়োঁ সাবান,১পোয়া কাঁচা মরিচ দিয়ে ১০টি প্যাকেট
করেন।আজ দুপুরে নিজ কর্মস্থল শিক্ষা সংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সামাজিক দূরত্ব
বজায় রেখে কর্মহীন হতদরিদ্র দশ পরিবারের মাঝে ওই সকল প্যাকেট বিতরণ করেন।
এসময় তিনি বলেন,দেশের এমন পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষদের পাশে থাকতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন। তিনি সমাজের বিত্তশালীদের অনুরোধ করে বলেন,আসুন আমরা সবাই সরকারের
পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষদের সহযোগিতা করে তাদের পাশে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন,তার সরকারী বৈশাখী ভাতাও হতদরিদ্রদের সাহায্যে ব্যয় করবেন। গুরুদাসপুর উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি মো.আতিয়ার রহমান বাধন বলেন,একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী তার বেতনের অর্ধেক টাকা দিয়ে কর্মহীন মানুষদের সহযোগিতার যে,মহানুভবতা দেখান তা নজিরবহীন দূষ্টান্ত।