পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদিঘী বাজারে আজ শনিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন ছিল। গেল দুই সপ্তাহ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই জমজমাট হাট বসে ওই বাজারে। করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ২৪ মার্চ থেকে জেলা প্রশাসন সর্বত্র হাট বাজার বন্ধের নির্দেশ দেন। আজ শনিবারও ওই বাজারে হাট বসবে এমন খবর ছিল উপজেলা প্রশাসনের কাছে। তাই সকাল থেকেই উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, সেনাসদস্য ও থানা পুলিশের সদস্যরা ময়দানদিঘী বাজারে অবস্থান করছিল। এতে অন্যদিনের মতো এদিন সকাল বেলা হাট বসেনি। এমনকি বাজারে সাধারণ লোকজনের আনাগোনা ছিল না। কিন্তু দুপুর ২ টার পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা ওই বাজার ত্যাগ করে। এরপরই ওই বাজারে সবজি ব্যবসায়ী সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী দোকান বসায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শতশত ক্রেতা এসেও জমা হয়। বিকাল ৪টা নাগাদ জমজমাট বসে যায় ওই বাজারে।
এভাবেই উপজেলার এই ময়দানদিঘী বাজারে সরকারি নির্দেশ অমান্য করেই প্রতিদিনই জনসমাগম ঘটে। শুধু হাটের দিনই নয়। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখে এসব বাজারের ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের লোকজন অভিযান চালালে তাৎক্ষণিক বাজার থেকে লোকজন সরে যায়। এসময় ব্যবসায়ীরাও দোকানপাট বন্ধ করে আত্মগোপন করে। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবারো শত শত লোকের সমাগম ঘটে বাজারে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা লোকজনকে বারবার বুঝিয়েও ঘরমুখী করতে পারছেনা।
খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জনসমাগমের ঘটনা ভয়াবহ বিপদের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ কারণে করোনা ভাইরাসের বিস্তারে জনসমাগমের কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু কেউই তা মানছে না। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে উপজেলা প্রশাসন কঠোর নজরদারি করছে। এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আজ সকালে ময়দানদিঘী বাজারে লোকসমাগম না ঘটাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আমি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বুঝিয়ে বলে আসি। এরপরও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা হাট বসিয়ে ফেলে। এ বিষয়ে খবর পাওয়ার পরই পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ নির্দেশনা দিয়ে যেহেতু হাট বাজার বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই প্রশাসন এখন হার্ডলাইনে যাবে।