এ মুহূর্তে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান ভাবতে পারেন যদি আপনার বাম হাতে থাকে বিসিজি বা ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুউরিন টিকার দাগ। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের শরীরে রয়েছে এই টিকার দাগ যা যক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে শৈশবে দেয়া হয়েছিল। আর এই টিকাই প্রতিরোধ করতে পারে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের এক গবেষণায় এমনটি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পৃথিবীর যে সব দেশে বিসিজি টিকাদান কর্মসূচি নেই যেমন ইতালি, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে দীর্ঘস্থায়ী টিকাদান কর্মসূচি যে সব দেশে চালু আছে ওইসব দেশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম।
গবেষণায় দাবি করা হয়, বিসিজি টিকা আসার পর থেকে বিশ্বে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়, মৃত্যুর হার বেশি হওয়ায় ১৯৮৪ সালে বিসিজি কার্যক্রম শুরু করে ইরান। দেশটিতে বিসজি টিকা দেয়া মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি তেমন একটা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিসিজি টিকা না দেয়ার কারণে চীন এবং ভারতের চেয়ে করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে গবেষণায় দাবি কর হয়। কারণ চীন এবং ভারতে বহুকাল ধরে বিসিজি টিকার প্রচলন রয়েছে।
আর এমন দাবির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিও । চীন থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ইতালিতে। আর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ৩ হাজার ১৮০ জন। মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৩৩ জন। হিন্দুস্তান টাইমস।