করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির দেহে কত সময় জীবাণু বা এজেন্ট সক্রিয় থাকে তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। এই অবস্থায় মৃত ব্যক্তির লাশ অনেকেই স্পর্শ করতে চাচ্ছেন না। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের দাফন হচ্ছে নীরবে, কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছে, মারা যাওয়ার পর মানুষের শরীরে জীবাণুর বেশির ভাগই দীর্ঘ সময় জীবিত থাকে না। আরো খোলাসা করে বলেছেন, থাইল্যান্ডের মেডিকেল সার্ভিসের মহাপরিচালক স্যামসাক আকাসিলিফ। ব্যাংকক পোস্টকে তিনি বলেছেন, কোন ব্যক্তি ভাইরাসে মারা যাওয়ার সাথে সাথে জীবাণুও মরে যায়। তাই অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণের সুযোগ কম। এই বিতর্কে বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মোজাহেরুল হক ভিন্নমত পোষণ করেছেন। যিনি দীর্ঘ দিন বিশ্ব স্বা্স্থ্য সংস্থার হয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করেছেন। তিনি মনে করেন, ভাইরাসের দীর্ঘ সময় জীবিত থাকার সুযোগ নেই। এই ভাইরাস ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে।
বাংলাদেশে করোনার উপসর্গ নিয়ে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। বলা হচ্ছে, আইইডিসিআরের পরীক্ষার আগেই ভাইরাস মারা যেতে পারে। ওদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যখন গণহারে মানুষ মারা যায় তখন লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেয়ে কবর দেয়া উত্তম। জনস্বার্থের জন্য গণকবর কোন সুপারিশকৃত বিষয় নয়। এতে প্রচলিত সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ আদর্শগুলো লঙ্ঘিত হতে পারে। তাই লাশ দাফনের সময় সামাজিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। লাশ সৎকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বলেছে, কবরস্থান হতে হবে পানির উৎস, যেখান থেকে পানি পান করা হয় তার থেকে ৩০ মিটার দূরত্বে। আর পানির স্তর থেকে শূন্য দশমিক ৭ মিটার দূরত্বে হতে হবে কবরস্থান।
সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা