ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তাঁদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় এগিয়ে এসেছে ঈশ্বরদীর তরুণ ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন তুহিন। স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় তিনি ঈশ্বরদীতে ১ হাজার করে পিপিই ও মাস্ক পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে ১০০ করে পিপিই ও মাস্ক দিয়েছেন সাংবাদ কর্মীদের জন্য। বাকীগুলো উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ,স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য।
তুহিন বলেন, এখন সরকার ও সমাজের অনেকেই নিম্নআয়ের মানুষ ও দিন মজুরদের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। বিতরণ কাজে নিয়োজিত প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এছাড়া পুলিশ বিভাগের সদস্য, ডাক্তার – স্বাস্থ্য কর্মী এবং সংবাদ কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে সেবা প্রদান করলেও এদেরও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, এই বিষযটি বিবেচনায় এনে আমি এদের সুরক্ষায় পিপিই ও মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছি। বর্তমান দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য কর্মী, প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবীরা করোনায় আক্রান্ত হযে পড়লে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
ঈশ্বরদীর জয়নগর এলাকার সাবেক পোষ্টমাষ্টার মরহুম আব্দুস সাত্তার এর কনিষ্ট পুত্র তুহিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের পর নিজ কর্মপ্রচেষ্টায় ঢাকায় ব্যবসা করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে সফলতা অর্জন করেছেন। ‘টিসিং বাংলাদেশ লিমিটেডে’র কর্ণধার তুহিন এর আগেও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঈশ্বরদীতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করেছেন। এবারেও তিনি পিপিই ও মাস্ক ছাড়াও জয়নগর এলাকার নিম্নআয়ের মানুষদের মধ্যে নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করছেন।