ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের গোয়াল বাথান গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর শিশু ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতা শিক্ষার্থী বর্তমানে পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। পুলিশ এঘটনায় সোমবার সকালে জাহিদ হাসান (২০) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। অপর ধর্ষক পলাতক রয়েছে। এঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ঈশ্বরদী থানায় সোমবার মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার জানান, ২৭শে মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুলাডুলি ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের পঞ্চম শ্রেণীর পড়–য়া শিশুকণ্যা ওই গ্রামের একটি বাড়িতে নতুন বউ দেখার জন্য যায়। সেখান থেকে রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে অন্ধকারের মধ্যে পার্শ্ববর্তি শেখপাড়ার দুই ধর্ষক পুকুরপাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে ধর্ষিতা শিশুটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। ২৮শে মার্চ ভোরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী হাসপাতালে ও পরে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এঘটনায় ধর্ষিতা শিশুর বাবা আব্দুর রাজ্জাক ২ ধর্ষকের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত ধর্ষকরা হলো শেখপাড়ার নিজাম উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হোসেন (২০) এবং মৃত আজিবুরের ছেলে শান্ত মিয়া (২২)। পুলিশ ফুফুর বাড়ি হতে সোমবার জাহিদকে গ্রেফতার করেছে।