প্রশাসনের গাড়ি দেখেই দৌড় অলি-গলি ঘুরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন

রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নিষেধ। কেউ কেই নিষেধ না মেনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর প্রশাসনের জিপ, পিকআপসহ গাড়ি গলির রাস্তায় দিয়ে দৌড়ে যে যার ঘরে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যে ঈশ্বরদীর অলি-গলি ও বাড়ি বাড়ি ঘুরে রবিবার রাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন।
এই অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হানকে দেখে জনৈক পথচারী ভয়ে ভয়ে বললেন ‘স্যার আমি কিছু করি নাই। কাজ-কাম নাই। ঘর থেকে বাইর হই না। বাড়ির সামনেই দাঁড়াইছিলাম।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বস্ত করে বললেন, ‘চিন্তার কিছু নেই, আপনারা বাড়ি থেকে বের হবেন না। নিয়ম মেনে ঘরে থাকুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের খাবারের বন্দোবস্ত করেছেন। আমরা আপনাদের বাড়িতেই খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেব ইনশাআল্লাহ।’ এসময় ইউএনও তার হাতে চাল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে ভেলুপাড়া এলাকার রিক্সাচালক ইদ্রিস মিয়া (৬৭)। বাড়িতে বসে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে গৃহকর্মী আছিয়া বেগম (৪৫), রশিদা বেগমসহ (৫৫)সহ আরো অনেকেই খুব খুশি।
এসময় রিক্সাচালক ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘ তিনদিন ধরে কোনো কামাই রোজগার নাই। সবকিছু বন্ধ। হাতে কয়েকটা টাকা আছিল, তাও শেষ। খুব চিন্তার মধ্যে আছিলাম। ইউএনও সাবের চাল পাইয়া মনে খুব শান্তি পাইলাম। দুইবেলা কইরা খাইলে ৫-৬ দিন চইলা যাবো। শেখের বেটি হাসিনার জন্য এই যাত্রায় না খাইয়া মরণের ভয় নাই। তাই হাসিনা ও ইউএনও সাব আপনার জন্য আল্লাহ্পাকের কাছে দোয়া করতাছি। ’
ইউএনও শিহাব রায়হান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লোকসমাগম বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সরকারের প থেকে দরিদ্র মানুষের মাঝে এসব খাদ্য বিতরণ শুরু করেছি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।’
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় তাৎণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই শনিবার বিকেল থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান শুরু করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা । ##