মণিরামপুরে লাঞ্ছিত সেই বৃদ্ধদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী। ‘মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে’ এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান তাদের কান ধরিয়েছিলেন।
অপকর্মের দায়ে ইতিমধ্যে শাস্তির মুখে পড়েছেন এসিল্যান্ড সাইয়েমা।
লাঞ্ছিত বৃদ্ধদের বাড়িতে শনিবার বেলা ১২টার দিকে থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন ইউএনও। তখন ইউএনও’র হাতে খাদ্য দ্রব্য ছিল। ইউএনও লাঞ্ছিত বৃদ্ধদের বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় স্থানীয় শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জানান, শুক্রবার বিকেলে মাস্ক না পরে চিনাটোলা বাজারে যাওয়ায় দক্ষিণ লাউড়ি গ্রামের সবজি বিক্রেতা আসমতুল্লাহ (৭২), একই গ্রামের ভ্যানচালক বাবর আলী (৬০) ও দক্ষিণ শ্যামকুড় গ্রামের ভ্যানচালক নূর আলীকে (৬২) কান ধরিয়ে লাঞ্ছিত করেন এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আজ (শনিবার) মণিরামপুরের ইউএনও লাঞ্ছিত ব্যক্তিদের বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে যান।
চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকেও ওই তিনজনকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ‘আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তাদের হাত ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি। আমি তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতাসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।’
তবে, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কোনাকোলা বাজারে অভিযানে গিয়ে যে দিনমজুরকে মাস্ক না পরায় কান ধরিয়ে উঠবস করিয়েছিলেন এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান, তার খোঁজ এখনো পর্যন্ত কেউ নেয়নি।#