করোনা ভাইরাস আতংকে স্বেচ্ছায় গৃহে অবস্থান করছেন পাবনা-৩ এলাকার প্রায় সব নেতা ও জন প্রতিনিধি। জন প্রতিনিধি হবার জন্য ভোটের পূর্বে ভোটারের দারে দারে ঘুরলেও এখন দুঃসময়ে অসহায় ভোটারের পাশে নেই তারা। করোনা বিস্তার রোধে জন সচেতনতা সৃষ্টি, পয়োজনীয় উপকরণ, গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্যব্যাদি বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছে না তাদের। কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নি¤œ আয়ের লাখো মানুষ যখন সংকটে দিন কাটাচ্ছেন এমন সময় দু-চারজন ব্যতীত অধিকাংশ নেতা জনপ্রতিনিধি নিজেকে নিরাপদ রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর ) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নবীন-প্রবীন মিলে প্রায় দুই ডজন নেতা তৎপর ছিলেন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের ১৪ এবং বিএনপির ১০ জন নেতা ছিলেন। সেসময় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন এমপি। তিনি এখনো পাবনা-৩ এলাকার সংসদ সদস্য। বিভিন্ন উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রেখেছেন নিজেকে।
আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন এমপি ছাড়াও বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলিম, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার (বর্তমান চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান), চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো, অ্যাডভোকেট শাহ আলম, ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ফ.ম আব্দুর রহিম পাকন , আবুল কালাম আজাদ, আতিকুর রহমান আতিক, খলিলুর রহমান সরকার, খ.ম কামরুজ্জামান মাজেদ, আলী আশরাফুল কবীর, ডা. মোঃ গোলজার হোসেন ও মোঃ রবিউল করিম সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে ছুটেছেন ভোটারের দারে দারে।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে সাবেক এমপি আলহাজ্ব কে এম আনোয়ারুল ইসলাম ছাড়াও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) ফখরুল আযম রনি, অ্যাডভোকেট মাসুদ খোন্দকার, জহুরুল ইসলাম বকুল, সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, হাসানুল ইসলাম রাজা (পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী), আরিফা সুলতানা রুমা, আলহাজ্ব রাজিউল হাসান বাবু, সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রবিউল করিম ভোটারের দারে দারে ছুটেছেন ভোটের আশায় । বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা খাইরুল আলম বিগত নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন।
পাবনা-৩ এলাকার তিনটি পৌর এলাকার তিনজন পৌর চেয়ারম্যান, তিন জন উপজেলা চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান, তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ ২৩ জন ইউপি চেয়রম্যান ভোটারের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হলেও দু-চার জন ব্যতীত সবাই এখন স্বেচ্ছায় গৃহে অলস সময় কাটাচ্ছেন।