পৌর-শহরের কাশিনাথ রোডস্থ এমআর ভিলা
নামক নিজস্ব বাসায় যুত্তরাজ্য ফেরত রেজিয়া বেগম (৬০) করোনা আক্রান্ত নন, তিনি হ্নদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৌলভীবাজার পৌর-
শহরের কাশিনাথ রোডস্থ এমআর ভিলা নামক নিজস্ব বাসায় গত ২২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে
মৃত্যুবরণকারী যুক্তরাজ্য প্রবাসী রেজিয়া বেগম (৬০) এর মৃত্যু করোনা ভাইরাসের কারনে নয় এমনটি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন,
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ তওহীদ আহমদ। তিনি বলেন, রেজিয়া বেগম প্রায় আড়াই মাস পূর্বে যুক্তরাজ্য থেকে তার স্বামী হাজী আব্দুল
মদ্দুছকে নিয়ে মৌলভীবাজার আসেন। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়া কাউকে করোনা ভাইরাসে মূত্যু অথবা তার শরীরে করোনা উপসর্গ
আছে এমন কিছু বলা যাবেনা। “ওই সময়ে যেহেতু তিনি বাংলাদেশে এসেছেন তাই তার করোনা উপসর্গের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
আমরা তার চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র নিভীরভাবে পর্যবেক্ষণসহ নমূনা
দেখে করোনা ভাইরাসের কোন কিছুই পাইনি। যুক্তরাজ্য ফেরত রেজিয়ার শরীরে
করোনা’র উপসর্গ ছিল না”। উল্যেখ্য– গত ১০ জানুয়ারী থেকে শহরের কাশিনাথ রোডের নিজ বাসা এমআর ভিলায় তার স্বামীকে নিয়ে বসবাস
করছিলেন। গত ২২মার্চ দূপুর দেড় টার দিকে অসুস্থাবস্থায় ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর
সংবাদ পেয়ে তার দুই ছেলে- জুনেদ আহমদ ও জাবেদ আহমদ এই দিন
বাংলাদেশে এসে তাদের মায়ের লাশের জানাযা নিয়ে বিপাকে পড়েন। তখন
পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে তড়িঘরি করে পৃথক পৃথক স্থানে ২টি জানাযা শেষে কবরের কাজ সম্পন্ন করেন এবংতাদের পিতা হাজী আব্দুল
মদ্দুছকে সাথে নিয়ে পুনরায় লন্ডনে চলে যান। এরপরে হটাৎ করে নড়েচড়ে বসে
প্রশাসন। উনার ব্যাবহ্ত পৌর-শহরের কাশিনাথ রোডস্থ বাসাসহ আশেপাশের ৫টি বাসা হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা করে জেলা পুলিশ ।
এরপর জেলা সিভিল সার্জন ড: তওহীদ আহমদসহ ডাক্তারের একটা টিম
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মৃতঃ নারীর ব্যবহ্ত বিভিন্ন জিনিসের আলামত সংগ্রহ করেন। অপরদিকে, মুত্যুর পর থেকেই তিনি করোনায় মারা
গেছেন এমন গুজব মৌলভীবাজারসহ দেশ বিদেশে পৌছালে নতুন করে লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়ে যায়। বেড়ে যায় মানুষের মাজে করোনা
আতংক। সটিক তথ্য “না জেনে, না বুজেই” ফেসবুক, বিভিন্ন জনপ্রিয় গণমাধ্যম ও কিছু অনলাইনসহ মিডিয়ায় তাৎক্ষনিক করোনা করোনায়