বাগমারায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংকটে দাম বেশি নিচ্ছে দোকানীরা

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেশি বেশি হাত ধোয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানীর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন কসমেট্রিক্্র ও ওষধের দোকানে কোন প্রকার হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। আর এই সুযোগে অনেক দোকানীরা এসব গুরুত্বপূর্ন সামগ্রীর মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। উপজেলার সদরে বিভিন্ন বাজারের দোকানে অনেক খোজাখুজি করেও কোন হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যায়নি। তবে ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটের আমজাদ কসমেট্রিক্্র ও নিউমার্কেট সংলগ্ন বিচিত্রা বিপনী দেকানের মালিক আজমাদ হোসেন ও ওবায়দুল ইসলাম জানান, সরকারি ভাবে করোনা প্রতিরোধে জনগনকে বেশি বেশি হাত ধোয়ার বিষয়ে আহবান জানানোর পর থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার ধুম পড়ে যায়। তবে তাদের দোকানে বিভিন্ন কোম্পানীর এসব সামগ্রী মজুত থাকাকালীন তারা নির্ধারিত দামেই এসব বিক্রি করেছেন। কোন প্রকার বেশি দাম তারা নেননি। স্থানীয় বাজারের এক শিক্ষক ও সাবেক এক পুলিশ সদস্য জানান, বাজারে তারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার না পেয়ে গোডাউন মোড় থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দামের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ১২০ টাকার কিনতে বাধ্য হয়েছেন। এ সময় অনেক দোকানী জরুরুী মূহুর্তে হ্যান্ড স্যানিটাইজার না পাওয়া গেলে কোন সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রায় একই পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: গোলাম রাব্বানী । তিনি বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাত দোয়ার জন্য উত্তম। তবে তা পাওয়া না গেলে যে কোন কাপড় ধোয়া সাবান অর্থাৎ যে সাবানে ক্ষার বেশি রয়েছে এমন সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দাম বেশি নেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ জানান, স্যানিটাইজারের অনেক চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পন্যের সংকট দেখা দিতেই পারে। তবে এসব পন্য মওজুত করে কোন দোকানী বেশি মূল্য নিয়ে এবং প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#