নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন ক্রেতার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. সোহেল রানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ রায় দেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন
দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কেনার জন্য অস্থিরতা শুরু হয়। মানুষের মুখে মুখে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সয়লাব হয়ে যায় দাম বৃদ্ধির খবর।
এরই প্রভাবে পেঁয়াজের দাম ৫৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা হয়ে তা ১০০ টাকায় পৌঁছে। পরে উপজেলার বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাউলসহ নিত্য
প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে বলে গুজব সৃষ্টি হলে এ গুজবে কান না দেয়ার জন্য আহবান জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা। তাছাড়া জনমনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সমাগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির যে গুজব দেখা
দিয়েছে তা দূর করতে ওই দিনই মাইকিংসহ পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার
মনিটরিং করেন। এসময় তিনি গুজব ছড়িয়ে যারা বেশি দামে ওই মালামাল বিক্রি
করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন। পরে শুক্রবার রাতে
উপজেলা সদরের মুদি ব্যবসায়ী প্রদীপ পালকে ১৫ হাজার, মো. খোকন মিয়া ১০ হাজার ও কুদরত আলীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করে তা আদায় করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন, তিন মুদি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন
২০০৯ এর অধীন ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,
গুজব ছড়িয়ে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে যে কোনো শ্রেণি-পেশার ব্যক্তি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সমাগ্রীর মূল্য অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।