ইবি প্রতিনিধি-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাইক বন্ধ রেখে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের মাইক চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পিছনে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ও বহিরাগতদের দ্বারা কর্মীদের উপর হামলার শাস্তির দাবিতে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন এ মাইক বন্ধ করে তারা।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। এসময় প্রধান ফটকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ চলছিল। আন্দোলনের মাইকের ব্যাঘাত ঘটায় বেলা আড়াই টার দিকে পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পদক মিজানুর রহমান লালনসহ কয়েকজন ভাষণ সংবলিত মাইক বন্ধ করে দেয়। দুপুর আড়াইটার পর থেকে প্রায় প্রায় ৩০ মিনিট মাইক বন্ধ ছিলো বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে এস্টেট অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শাখা ছাত্রলীগের নেতারা মাইক বন্ধে আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু মাইক চালাচ্ছিল জনসংযোগ অফিস।’
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান লালন বলেন, ‘আমরা মাইক বন্ধের জন্য জনসংযোগ অফিসে অনুরোধ করেছিলাম। তারা গেটে মাইকের ওখানে বলেছে যে আমরা যখন মাইক চালাবো তখন ওই মাইকটা বন্ধ থাকবে আমরা বন্ধ করলে ওটা চালাবে। আমাদের আন্দোলনেও আমরা ৭ মার্চের ভাষণ চালিয়েছি।’
এবিষয়ে মুজিব শতবর্ষ পালন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘মাইক বন্ধের বিষয়টি আমি শুনেছি। এর কোন অনুমতি আমার কাছ থেকে নেয়া হয়নি। এ গর্হিত কাজটি যারা করেছে তাদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এবিষয়ে মুজিব শত বর্ষ পালন কমিটির সদস্য সচিব ও জনসংযোগ অফিসের কর্মকর্তা রাশিদুজ্জামান খান টুটুল বলেন, ‘ওখান থেকে কয়েকজন আমাকে কল দিয়েছিলো। তারা বললো ছাত্রলীগের আন্দোলনে টিভি চ্যানেল বক্তব্য নিবে তাই মাইকটা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা দরকার। এরপর আমরা প্রশাসনিক অনুমতির জন্য কথা বলতে বলতে মাইক বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওখানে যাই। এর কিছুক্ষণ পর আবার মাইক চালানো হযেছে।’