জুড়ীতে মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের জালালপুর এলাকার মেম্বার মোঃ নুর উদ্দিনকে ম্যানেজ করে জালালপুর জামে মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। সুত্র জানায়, মসজিদের পাশের জমির মালিক
হোছন আলী (৬০) স্থানীয় জনগণকে ধোঁকা দিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে শলাপরামর্শ করে মসজিদের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জালালপুর-রত্না চা বাগানের রাস্তা সমেত টিলাটি কেটে হোছন আলীর একটি জমি ভরাট করে। তখন
স্থানীয় জনগণ টিলা কাটার বিষয়টি জানতে চাইলে স্থানীয় মেম্বার নুর উদ্দিন
জানান, ইউনিয়ন থেকে কিছু বরাদ্ধ আসায় মসজিদের সৌন্দর্য্য বর্ধনে টিলাটি কেটে সমান করা হচ্ছে। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিষয়টি সম্পূর্ন ভূয়া। এই ভূয়া বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে ক্ষোভ দেখা দিলে তারা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চায়েতি ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মসজিদের জমিটি জরিপ করেন। ওই জরিপে হোছন আলী ও ইউপি সদস্য নুর উদ্দিনের যোগসাজশে মসজিদের জায়গা দখলের বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে উঠে। তখন জনগণ ওই কাজে বাধা
দেন। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য নুর উদ্দিনের পরামর্শে হোছন আলী বাধা দান কারীদের বিরোদ্ধে জুড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের
প্রেক্ষিতে দু’পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১১ মার্চ দু’পক্ষের দুই আমিন দিয়ে পূনরায় জরিপ কাজ সম্পন্ন
হয়। ওই জরিপেও দেখা যায় মসজিদের জায়গা দখল করেই মাটি কর্তন ও দখলের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাকিস্তান আমলে মরহুম সৈয়দ আবরার আলী ৩৩

শতক ভূমি মসজিদ নির্মাণের জন্য দান করেন। আজ কয়েক যুগ পর আমাদের
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় মেম্বার নুর উদ্দিনকে ম্যানেজ করে পার্শ্ববর্তী
সাগরনাল ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের বাসিন্দা হোছন আলী আমাদের
মসজিদের সুন্দর একটি টিলা কেটে তার জমি ভরাট করেন এবং মসজিদের ওই
জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছেন। আমাদেরকে দমানোর জন্য থানায় মিথ্যা
অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। কিন্তু আমরা এই অনিয়ম ও দুর্নীতিকে কখনো
মেনে নেবোনা।