বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজ হওয়ার ৪দিন পর নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যতিন্দ্র কুমার দাস (৫৫) নামের এক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা (দাসপাড়া) গ্রামের মৃত হরেন্দ্র কুমার দাসের পুত্র। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টেংরা গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাসিয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান- গত রবিবার (৮মার্চ) দিবাগত রাত ১১টায় যতিন্দ্র কুমার দাস গ্রামের পার্শ্ববর্তি নদীর পাড়ে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করেন। নিখোঁজের ৪দিন পর বৃহম্পতিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় লোকজন টেংরা গ্রামের পার্শ্ববর্তি বাসিয়া নদীর পানিতে হাত-পা বাঁধা অবস্থা যতিন্দ্র কুমার দাসের লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক লোকজন থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।ধারণা করা হচ্ছে, দুস্কৃতিকারীরা যতিন্দ্র কুমার দাসের হাত-পা বেঁধে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে এবং হত্যার পর গলা ও পা’র সাথে মাটির বস্তা বেঁধে নদীর পানিতে লাশ গুম করার চেষ্টা করেছিল।লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, যতিন্দ্র কুমারকে হত্যা করা হয়েছে, এটা প্রায় নিশ্চত। আমরা ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্রগে প্রেরণ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এদিকে, চার কন্যা সন্তানের জনক যতিন্দ্র কুমার দাস নিহতের ঘটনায় টেংরা গ্রামে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। নিহতের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের কান্না আহজারীতে ভাড়ি হয়ে গেছে বাড়ির পরিবেশ। তাদেরকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।