ঢাকা থেকে ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরীতে ব্যয় ১১০০ কোটি টাকা
ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এই পথটুকু পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। পথে যেতে কোনো যানজটেও পড়তে হবে না। যাত্রাও হবে নির্বিঘ্ন। সড়ক পথেই পাড়ি দেয়া যাবে এই দূরত্ব। অন্যদিকে ঢাকা থেকে মাওয়া যেতে লাগবে মাত্র ২৭ মিনিট। দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার।
যদিও এখনই সড়ক পথে সরাসরি ভাঙ্গা পর্যন্ত যাওয়া যাবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এ সুফল ভোগ করা যাবে। তবে এখন ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত যাওয়া যাবে। ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
এসবই সম্ভব হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ে চালুর মাধ্যমে। আগামীকাল ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার চালু করা হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। এদিন সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেস হাইওয়ের উদ্বোধন করা হবে। যদিও এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে টোল দিতে হবে সব ধরনের যানবাহনকে।
সদ্য নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনের। সঙ্গে সড়কের দুই পাশে থাকছে সাড়ে ৫ মিটার করে (একেক পাশে দুই লেন করে) দুটি সার্ভিস লেন। যেগুলো দিয়ে স্থানীয় পরিবহন যাতায়াত করবে।ঢাকার যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এই প্রকল্পের। পদ্মার ওপার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার অংশের কাজ।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েটি ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। পদ্মা সেতু চালু হলে এ স্বপ্ন শতভাগ পূরণ হবে।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের নকশাও করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য। এক্সপ্রেসওয়েটিতে গাড়ি প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রাখা হয়েছে আটটি পথ। ঢাকার বাবুবাজার, যাত্রাবাড়ী, পোস্তগোলা, কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ, আব্দুল্লাপুর, আব্দুল্লাপুর সংলগ্ন টোলপ্লাজা, শ্রীনগর ফ্লাইওভার ও মুন্সীগঞ্জের মাওয়া মোড়ে রয়েছে এসব প্রবেশ-নির্গমন পথ। আর এক্সপ্রেসওয়ের ভেতরে কিছু দূর পরপর নির্মাণ করা হয়েছে যাত্রী ছাউনিসংবলিত বাস-বে।