নাটোরের সিংড়ায় সেনাবাহিনীর চাকুরির কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে
নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারক এ চক্রের কাছে সর্বশানন্ত হচ্ছে পরিবার পরিজন। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আলালের
পুত্র সবুজ আলী এবং তাদের গং এলাকার বেকার যুবকদের সেনাবাহিনীতে চাকুরি দেবার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নগদ কিছু টাকা নেয়া
হচ্ছে খরচের কথা বলে এবং চাকুরির আশ্বাস দিয়ে সাদা স্ট্যাম্প এবং চেক নেয়া হচ্ছে। চাকুরি না হওয়ায় চেক স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে ঘটছে বিপত্তি। ফেরত না দিয়ে টাকার অংক বসিয়ে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। উপরন্তু আবার মামলা
ঠুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রভাবশালী কোনো মহলের মদদে এসব অপকর্ম করে ও পার পাচ্ছে ঐ চক্র। সম্প্রতি এই চক্র গোটিয়া গ্রামের মৃত ওসমান আলীর পুত্র বুলবুল কে সেনাবাহিনী তে চাকুরির কথা বলে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে স্ট্যাম্পে
সই ও সাদা চেক নেয়। চাকুরি না হওয়ার পর ঐগুলো ফেরত চাইলে মামলা করার
হুমকি দেয়। পরে বুলবুল সিংড়া থানায় অভিযোগ দিলে পরে তা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। গত ২৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে নাটোর এনএস কলেজে অনার্স
হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঐ শিক্ষার্থীকে মারপিট ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে ১০০ টাকার ৬ টি স্ট্যাম্পে সই নেয়। এ বিষয়ে
প্রতিকার চেয়ে নাটোর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে প্রতারিত ঐ যুবক। অপরদিকে এই চক্রের কাছে প্রতারনার শিকার হয়েছে মহিষমারী গ্রামের ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ হোসেন ও
বিল্টু নামে একজন। বুলবুল বলেন, তাকে ঐ চক্র বারবার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমার বাবা নাই, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। এ
বিষয়ে অভিযুক্ত সবুজকে কয়েকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেনি। চামারী ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম জানান, একটি প্রতারক চক্র বেকারদের অসহায়ের সুযোগে প্রতারনা করছে। এ বিষয়ে বুলবুল মৌখিক ভাবে
আমাকে জানালে আমি সবুজকে পরিষদে আসতে বলি। কিন্তু সে আসে নাই।
সিংড়া থানার ওসি ( তদন্ত) সেলিম রেজা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।