পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ৮ দিনব্যাপী বইমেলা। ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মেলা। মেলা উপলক্ষে কলেজের সামনের সড়কে বসেছে অন্তত বিশটি খাবার ও শিশুদের খেলার সামগ্রীর দোকান। এসব দোকান থেকে ভাঙ্গুড়া পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জু আহমেদ ও তার সহযোগীরা প্রতিদিন ২’শ থেকে ৩’শ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দোকানদাররা চাঁদা দিতে না চাইলে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। বিষয়টি মেলা পরিচালনা কমিটি জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু ওই যুবলীগ নেতা মেলা কমিটির অনুমতি নিয়ে চাঁদা তুলছেন বলে দাবি করেছেন। এনিয়ে দরিদ্র দোকান মালিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দোকান মালিকদের অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার মেলা শুরু হওয়ার প্রথম দিনই যুবলীগ নেতা রঞ্জু ও তার কয়েকজন সহযোগী প্রতিটি দোকান থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা তোলে। কয়েকজন দোকানদার চাঁদা না দিতে চাইলে তখনই তাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ওই যুবলীগ নেতাকে টাকা দিয়ে তারা দোকান চালু করে। এরপর ওই যুবলীগ নেতা প্রতিদিন রাতে ছোট দোকান থেকে ২’শ ও বড় দোকান থেকে ৩’শ টাকা করে চাঁদা নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চটপটি ও ফুচকার দোকানদার বলেন, ‘প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত তিন থেকে চার হাজার টাকা বিক্রি করি। এতে ৭ থেকে ৮ শত টাকা লাভ হয়। কিন্তু প্রতিদিন ওই যুবলীগ নেতা ৩০০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে যায়। আমরা দরিদ্র মানুষ তাহলে চলবো কিভাবে। ওই যুবলীগ নেতাদের দাপটে আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছিনা।’
চাঁদা নেয়ার কথা স্বীকার করে যুবলীগ নেতা রঞ্জু আহমেদ বলেন, আমি একটা সংস্কৃতি সংগঠন পরিচালনা করি। সেই সংগঠনের জন্য মেলা পরিচালনা কমিটির কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই। তখন মেলা পরিচালনা কমিটি মেলার প্রধান ফটকের সামনে বসা দোকানগুলো থেকে টাকা তুলতে বলে। এরপর দোকানগুলো থেকে টাকা নেয়া হয়।
তবে মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক ওই যুবলীগ নেতার বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন, ‘ফুটপাতের দোকান থেকে কেউ চাঁদা তুলছে কিনা সেটা আমাদের জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলার ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।