ভাঙ্গুড়ায় সারের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত ডিলার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নে সার ও বীজ বিক্রয়ের ডিলার। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে খানমরিচ ইউনিয়নে ২২ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বর্তমানে বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করছেন কৃষকরা। চারা রোপন করতে ইউরিয়া ও ডিএপি সারের প্রয়োজন হয়। খানমরিচ ইউনিয়নের ডিলার জহুরুল ইসলাম স্থানীয় কৃষকদের এই স্যারের যোগান দেন। এবছর প্রতি বস্তা ডিএপি ও ইউরিয়া সারের সরকার নির্ধারিত মূল্য ৮০০ টাকা। কিন্তু ডিলার জহুরুল ডিএপি সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে প্রতি বস্তা সার ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগকারী একজন কৃষক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই ডিএপি সারের দাম বেশি নিচ্ছেন ডিলার জহুরুল ইসলাম। প্রথমে আমরা তাকে দাম একটু কম নিতে বলি। কিন্তু তিনি আমাদেরকে অগ্রাহ্য করেন। পরে নিরুপায় হয়ে আমরা হতদরিদ্র কৃষক ন্যায্য মূল্যে সার পেতে কৃষি অফিসে অভিযোগ করি।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার জহুরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কৃষকরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে উপজেলা কৃষি অফিসে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।