রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়া ও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থল থেকে স্বামী মামুন রশীদ (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শাশুড়ী মাজেদা বেওয়া (৫৫) পলাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধূর নাম শিরিনা বেগম (৩০)। আসামি পুলিশের কাছে হত্যাকাÐের কথা স্বীকার করেছে। মামুন রশীদ ছিলেন পেশায় একজন ট্রাক চালক। পুলিশ নিহত শিরিনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মোহনপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার সাকাঁয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে মামুন রশীদ (৩২) সাথে একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে শিরিনা বেগম (৩০) এর বিয়ে হয়। এদিকে সোমবার সন্ধ্যার পর মামুন রশীদ তার ৮ বছরের মেয়েকে নানীর কাছে ও ৪ বছরের ছেলেকে মামা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে রেখে যান। নিহত গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী ছিলেন। দুই সন্তানের জনক মামুনের পরিবারে পরকীয়া প্রেমে ও যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। স্ত্রী শিরিনা প্রায়ই সময় তার স্বামীকে পরকীয়া করতে বাধা দিয়ে আসতো। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। নিহত গৃহবধূর মামাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম জানান, পরকীয়া প্রেমে বাধা ও যৌতুকের জন্য প্রায় সময় তার বোন শিরিনাকে নির্যাতন করত। বোনের সুখের জন্য যৌতুক হিসেবে অনেক টাকা দেয়া হয়েছে। তারপরেও যৌতুকের জন্য আবারও চাপ সৃষ্টি করে। এর জের ধরে (২ মার্চ) সোমবার মধ্যরাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর শিরিনাকে মারধরে পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী মামুন। নিহতের ভাই হাসেন আলী বাদি হয়ে মোহনপুর থানায় স্বামী ও শ^াশুড়ীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় নিহতের ভাই হাসেন আলী বাদি হয়ে মোহনপুর থানায় স্বামী ও শ^াশুড়ীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গৃহবধূর শিরিনার ভাই হাসেন আলী হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, মামুনকে পরকীয়াতে বাধা দেয়া ও যৌতুকের জন্য তার বোনকে নির্যাতনের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এবিষয়ে মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে মগে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শাশুড়ীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।