রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) এর বিরুদ্ধে জোর পুর্বক জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। মহানগরীর বড়কুঠি এলাকায় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের তিন কাঠা জমি দখলে নিয়ে সেখানে আবর্জনা ফেলার ভাগাড় নির্মাণের কাজ শুরু করেছে নগর সংস্থা। রাসিকের দাবি জায়গাটি খাস। তাই সেখানে অস্থায়ী ভাগাড় নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। তবে বড়কুঠি এলাকার একটি পরিবার দাবি করছে তাদের জমি দখল করা হচ্ছে। তাদের দেয়া তথ্যমতে, বড়কুঠি রাস্তার পাশের ২৪ কাঠা জমির মালিক আব্দুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তি। তিনি বেশকেছু ুদন আগে মারা গেছেন। তার রেখে যাওয়া ২৪ কাঠা জমির ওপর এশটি বাড়ি এবং দোকানঘর রয়েছে। এবং কিছু অংশ ফাকাও পড়ে আছে। এর মধ্যে প্রায় তিন কাঠা জমি দখল করা হচ্ছে। আব্দুস সাত্তারের ছেলে টিপু সুলতান জানান, যে জায়গাটি দখল করা হচ্ছে সেখানে একটি দোকানঘর ছিলো। মাস দুয়েক আগে পাশের বসতি উচ্ছেদ করতে গিয়ে সিটি করপোরেশন দোকানটিও ভেঙে দেয়। এর প্রতিবাদ করা হলে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু দুঃখ প্রকাশ করেন। একই জমিতে আবার বাঁশ-খুটি ও গাছের গুড়ি দিয়ে ভাগাড় নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ির সামনের ফাকা স্থানে এই ভাগাড় নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এক রকম জোর করেই ব্যক্তিগত জমির ওপর ভাগাড় নির্মাণ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন টিপু সুলতান। এবিষয়ে জানতে চাইলে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, জায়গাটি খাস। সে জন্য অস্থায়ী একটি ভাগাড় নির্মাণ করা হচ্ছে। যারা জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন তাদের কোনো দলিল নেই। তবে টিপু সুলতান বলেন, কয়েকবছর আগেও জমিটি দখল করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছিল। তখন সিটি মেয়র ছিলেন মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তারা তাকে কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে ছিলেন। এর ফলে জায়গাটিতে আর নজর দেয়নি সিটি করপোরেশন। কিন্তু এখন আবার দখল করা হচ্ছে। এব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, জায়গাটির ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আছে কি না তা তিনি জানেন না। খাস জায়গা জেনেই সেখানে মাস ছয়েকের জন্য অস্থায়ী একটি ভাগাড় নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেখানে আবর্জনার আধুনিক সেকেন্ডারি টান্সফার স্টেশন নির্মাণ করা হবে।#