প্রশিক্ষণ সুবিধা অর্জনের জন্য আর্মি এভিয়েশন
স্কুল ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে স্থানান্তর করে নতুন ও আধুনিক অবকাঠামো
তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল বৈমানিক, প্রকৌশলী এবং
বিমানক্রু এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৪টি ট্রেডে প্রশিক্ষিন গ্রহন পারবে।
গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় লালমনিরহাট বিমানবন্দরে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের
উদ্বোধন শেষে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি এভিয়েশন স্কুলের নতুন অবকাঠামো উদ্বোধন এবং অফিসার্স মেস, এসএম ব্যারাক ও লালমনিরহাট মিলিটারি ফার্মের জন্য একটি আধুনিক ও স্বয়ংক্রীয় মিল্কিং পার্লারের ভিত্তি প্রস্থর ফলক উম্মোচন করেন । এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর বিমান হেলিকপ্টারের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশিক্ষনের প্রয়োজনিয়তাও বৃদ্ধি
পেয়েছে। আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত
প্রতিষ্ঠান যা সেনাবাহিনীর আভিযানিক কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে বিমান সহায়তা প্রদান করে আসছে। বিগত ২০১২ সালে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের
অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আর্মি এভিয়েশন স্কুল ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়।এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এভিয়েশন গ্রুপ
কমান্ডার মেজর জেনারেল আমগীর হোসন। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর কোয়াটার মাস্টার লে. জেনারেল সামছুল হক, মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স মেজর জেনারেল আবু সাঈদ সিদ্দিক, রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর
জেনারেল নজরুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার
আবিদা সুলতানা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত লালমনিরহাটের ডেইরি ফার্মে মিল্কিং পার্লারে ২ হাজার ২০০টি গরুর মধ্যে ৬০০টি দুগ্ধজাত
গাভী পালনের ব্যবস্থা করা হবে। এসব গাভী থেকে দৈনিক সাড়ে ৬হাজার লিটার দুধ উৎপাদনে সক্ষম হবে। এ মিল্কিং পার্লারের মধ্য দিয়ে লালমনিরহাট মিলিটারি ফার্মটি দেশে অর্থনীতি অবদান রাখবে ।