গাজীপুরে কালেক্টরেট সহকারীদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বহী অফিসারের কার্যলয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের পদ-পদবী পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) গাজীপুর জেলা শাখার সদস্যরা।
২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৯টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে কালেক্টরেট সহকারীরা নিজ নিজ অফিসের বাইরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। যথারীতি তা চলে টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
এ সময় সেখানে বাকাসসের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাকাসসের গাজীপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এস এম রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অফিস সুপার মোঃ রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আজাহারুল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজ-উ-দ্দৌলাহ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খাইরুল বাসার, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক আশাদুল হক, দপ্তর সম্পাদক দীপঙ্কর চন্দ্র দাস, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহমুদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মীর কাশেম, নির্বাহী সদস্য জেসমিন সুলতানা, মোয়াজ্জেম আকন্দ, মোঃ জাকারিয়া, মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ শরীফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ নিশাত, আসমা খাতুন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমাদের সামনে তিনদিন কর্মসূচি আছে। অপনারা সবাই এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা মহোদয়কে এই বিষয়টি জানানো হয়েয়ে। এর আগে আমরা দরখাস্ত দিয়েছি। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি আছে। কর্মসূচি মোতবেক আমরা কর্মসূচি পালন করবো। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন না হবে ততদিন আমরা মাঠে থাকবো। ইনশাআল্লাহ। এই আন্দোলন সংগ্রামে ৫টা পর্যন্ত আমরা এখানে অপেক্ষা করবো। ৫টার পর কেউ আমরা অফিসে যাবো না। কেন্দ্রীয় কমিটির রেজুলেশনে বলা আছে কর্মসুচী চলাকালীন সকাল ৯টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস চত্বরে অবস্থান করার পর কর্মস্থল ত্যাগ করতে হবে। যদি কোন কর্মচারী দাবি আদায়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোনরুপ অবহেলা ও অনিহা প্রকাশ করেন, সেক্ষেত্রে তিনি সমগ্র কর্মচারীর কাছে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। তার নাম ও পরিচয় কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের ফেইসবুক পেইজে উল্লেখ করা হবে।
জানা যায়, ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করেন কালেক্টরেট সহকারীরা। দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা। সমাবেশে গাজীপুর কালেক্টরেটে কর্মরত সকল সহকারীগণ স্বতস্ফুর্তভাবে উপস্থিত ছিলেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার ও ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারও পুর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।