রাজশাহীতে চাঁদা না পেয়ে ভাংচুরের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মহানগরীতে চাঁদা না পেয়ে কোচিং সেন্টার ভাংচুরের অভিযোগে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম ও সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আসাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নাইমুল হাসান নাঈম রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। আর আসাদ রাজশাহী সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছিলেন। এর আগে রোববার রাতে বোয়ালিয়া থানায় নাঈম ও আসাদসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সোনাদিঘীর মোড়ে অবস্থিত ইউনি কেয়ার কোচিংয়ের পরিচালক রায়হান হোসেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম ও তার অনুসারী আসাদ ও মারুফসহ আরো বেশ কয়েকজন কোচিংটির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এর আগেও তারা বিভিন্নভাবে এই কোচিংয়ের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছেন। গত শনিবার তারা আবারও ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় ইউনি কেয়ার কোচিংয়ের পরিচালক রায়হান চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা জোরপূর্বক ৩ হাজার টাকা নিয়ে আসে। দাবিকৃত টাকার পুরোটা না দেয়ায় রোববার রাত ৮টার দিকে নাঈম ও তার অনুসারীরা কোচিং সেন্টারে ভাঙচুর করেন। কোচিংয়ের পরিচালক রায়হান জনান, গত বৃহস্পতিবার আসাদ ও মারুফ এসে তিন হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। সেদিন তারা কোচিংয়ের জানালা, টেবিল, চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি এক কর্মচারীকে মারধরও করে। এরপর গত রোববার আবার তারা চাঁদা দাবি করে। তখন আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। কিন্তু নাইম বলেন, টাকা না দিলে কোচিং ভাঙচুর করা হবে। আমিও তাকে বলি যে, ভাঙচুর করতে আসলে আমিও প্রতিহত করার ব্যবস্থা করব। কিন্তু গত রোববার আমার অনুপস্থিতিতে কোচিংয়ের গেইট ভাঙচুর করে যায় নাইম, আসাদ ও মারুফসহ অনেকেই। পরে আমি থানায় অভিযোগ করি। নাঈমের গ্রেফতারের বিষয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)নিবারণ চন্দ্র দাস সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।