নেত্রকোনার নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মিলন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় গত রোববার গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে নেত্রকোনার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সোমবার সকালে ওসি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার কালাইকান্দি স্কুলের মোড়ে হত্যার শিকার হয় ব্যবসায়ী মিলন। সেখান থেকে শনিবার সকালে মরদেহ উদ্বার করা হয়। এ ঘটনায় মিলনের বড় ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরেই রোববার সকালে কলমাকান্দা সদরের রেন্টিতলা সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে মো. শাহজাহান মিয়া ও আবুল বাশার নামে আরেক আসামীকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শাহজাহান ও আবুল বাশার জানায়, প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস আগে হরিণাকুড়ি গ্রামের একটি বাড়িতে এক নারীকে নিয়ে শাহজাহান ও তার কয়েকজন বন্ধু অসামাজিক কাজে লিপ্ত এমন একটি ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। পরে তা শাহজাহানের কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখে। গত শুক্রবার রাতে শাহজাহান তার দোকানে বসে খাওয়ার সময় মিলন মিয়া শাহজাহানের কম্পিউটার থেকে কয়েকটি গান ও অসামাজিক কাজের ভিডিও তার মোবাইলে লোড করে নিয়ে যায়। পরে মিলন তার দোকানে ভিডিওটি দেখার সময় শাহজাহান তা টের পেয়ে মিলনকে অসামাজিক কাজের ভিডিওটি ডিলেট করতে বললে এ নিয়ে মিলন ও শাহজাহানের মধ্যে বাগবিত-া হয়। এরই এক পর্যায়ে পাশের দোকানে থাকা আবুল বাশারও মিলনের ঘরে গিয়ে ভিডিওটি ডিলেট করতে বললে তার সঙ্গেও বাগবিত-া হয়। বাগবিত-ার এক পর্যায় বাশার মিলন মিয়ার মাথা চেপে ধরে আর শাহজাহান একটি কার্টার দিয়া মিলনের গলা কেটে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনারস্থলের পাশে রফিকের ডোবায় পড়ে মিলনের মৃত্যু হয়।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম জানান, গত রোববার সকালে কলমাকান্দা সদরের রেন্টিতলা সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে মো. শাহজাহান মিয়া ও আবুল বাশার নামে আরেক আসামীকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওইদিনই সন্ধ্যায় শাহজাহান ও আবুল বাশারকে নেত্রকোনার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।