স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন আল্লাহর অপূর্ব নেয়ামত। পরিবারকে একটি স্বর্গসুখের উদ্যান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন নেককার স্ত্রী। ইহ ও পরলৌকিক সফলতা অর্জনে নেককার স্ত্রীর ভূমিকা অপরিসীম।একজন সৎ ও নেক স্ত্রী স্বামীর জন্য অনেক বড় নেয়ামত।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পার্থিব জগতটাই হল ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম সম্পদ (উপভোগের বস্তু) হলো নেককার স্ত্রী।’ [মুসলিম, আসসাহিহ : ১৪৬৭]
আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুমিনের জন্য আল্লাহভীতি অর্জনের পর নেককার স্ত্রীর চেয়ে কল্যাণকর কিছু নেই। কারণ স্বামী তাকে আদেশ করলে সে আনুগত্য করে, তার দিকে দৃষ্টিপাত করলে সে (স্বামী) মুগ্ধ হয়। তাকে নিয়ে শপথ করলে সে তা (শপথকৃত কর্ম) পূরণ করে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজেকে (অন্যায়-অপকর্ম থেকে) এবং স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করে।’ [ইবনু মাজাহ, আসসুনান : ১৮৫৭]
নেককার স্ত্রী বলতে বোঝানো হয়, সতী-সাধ্বী ও দীনদার হওয়া। সালিহাত শব্দের ব্যাখ্যায় ইমাম তাবারি (রহ.) বলেছেন, ‘দীনের যথাযথ অনুসারিনী, সৎকর্মশীল নারীগণ।’
এ জন্য জীবনসঙ্গিনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম দীনদারিকে প্রাধান্য দিতে জোর তাগিদ দিয়েছে। কারণ স্ত্রী দীনদার হলে পুরো পরিবার এবং ভবিষ্যতপ্রজন্মও দীনদার হবে।