রাজশাহী সীমান্ত থেকে ৫ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে বিএসএফ ভারতের মুর্শিদাবাদের একটি জেলে পাঠিয়েছে। শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সায়ো ৫টার দিকে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিএসএফ। এর আগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তের বাংলাদেশ অংশ থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এঘটনা জানার পর শনিবার পতাকা বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানায় বিজিবি। পতাকা বৈঠকের জন্য বিজিবির একটি দল নির্ধারিত সময়ে সীমান্তে গেলেও বিএসএফ সেখানে আসেনি। ফলে বৈঠক না করেই ফিরে আসতে হয় বিজিবির দলকে। তবে বিকাল ৫টায় আবারও পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে বিএসএফ নিশ্চিত করে বাংলাদেশি ৫ জনকে তারা জেলে পাঠিয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খরচাকা সীমান্ত থেকে পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন- রাজন হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৭),কাবিল হোসেন (২৫), শাহীন আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩০)। পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামে তাদের বাড়ি। পদ্মার চরে তারা গরু চরাতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তখনই তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এ সময় একজনকে নির্যাতনও করা হয়। বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সকালে বিএসএফ পতাকা বৈঠকে আসেনি। তবে বিকালে বৈঠকে বিএসএফের তরফ থেকে ৫ বাংলাদেশিকে আটকের কথা স্বীকার করা হয়। তারা জানিয়েছে ৫ বাংলাদেশিকে মুর্শিদাবাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, বিএসএফ সদস্যরা যে ৫ জনকে তুলে নিয়ে গেছে তারা যে বাংলাদেশের ভূখন্ডেই ছিল তার প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কাউকে সীমান্তে আটক করা হলে বিএসএফ দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী বিজিবিকে অবহিত করবে অথবা তাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে কারণ জানতে চাওয়া হবে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে।