পাবনার ফরিদপুরে অজ্ঞাত রোগে দুই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী খাতুন ও শনিবার সকালে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী বিথী খাতুন মারা যায়। তারা উপজেলার হাদল ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শহীদ প্রামানিকের মেয়ে। এছাড়া একই উপসর্গ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের তাসলিমা খাতুন ও রেশমা খাতুন নামে দুই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাসলিমা আজম প্রমানিকের ও রেশমা ফজলুল হকের স্ত্রী।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সাথী ও বিথী। এরপর তারা বমি শুরু করে। বাড়ির সদস্যরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মনে করে দুই বোনকে হাসপাতালে না নিয়ে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা দিতে থাকেন। এর পরদিন শুক্রবার রাতে সাথী এবং শনিবার সকালে বিথী তাদের নিজ বাড়িতে মারা যায়।
এদিকে ওই দু’জন স্কুলছাত্রী মারা যাওয়ার পর শনিবার বিকালে পাশের বাড়ির তসলিমা খাতুন (৪০) ও রেশমা খাতুন (৩২) নামে আরও দুই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ হওয়ার পরে তারাও বমি করে বলে জানায় স্বজনরা। বিকালে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না ঘটায় সন্ধ্যায় ওই দুই গৃহবধূকে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন সেখানকার চিকিৎসকরা।
প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে হঠাৎ কান্নাকাটি শুনে আমরা সবাই গিয়ে দেখি সাথী ও বিথী বমি করছে। প্রথমে আমরা এটি সাধারণ ডায়রিয়া ভেবেছিলাম। পরে তারা মারা যাওয়ার পরে আমাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরদিন আরো দুইজন একই ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন প্রচণ্ড ভীতি কাজ করছে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
আদল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে নিহত দুই স্কুলছাত্রী হঠাৎ করে বমি শুরু করে। এরপর বাড়িতে পল্লী চিকিৎসকের হেফাজতে থাকা অবস্থায় দুজনই মারা যায়। আজ আরও দুই গৃহবধূ একই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে ভয়ে বাড়ির লোকজন তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। গ্রামের সকলেই অজানা রোগ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।