নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
ভাল দাম পাওয়ায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এবার রবি মওসুমের পিয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বিগত কয়েক বছর পিয়াজ চাষ করে কৃষকরা তেমন লাভ করতে পারেনি। তবে এবার কৃষকরা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছে। তাই এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সেচা জাতের পেয়াজ চাষ হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস বলছেন। এলাকা সুত্রে জানাগেছে, তাহেরপুরী পেয়াজ দেশ জুড়ে খ্যাতি রয়েছে। এছাড়াও বাগমারার তাহেরপুর হাটের পিয়াজ বিদেশেও রপ্তানী হয়ে থাকে। মূলত তাহেরপুর হাটে পেয়াজ রপ্তানীর উদ্দেশ্যেই দুই মৌসুমেই এলাকার কুষকরা পিয়াজ উৎপাদন করে থাকে। রবি মওসুমের পিয়াজকে সেচ পিয়াজ বলে। যা কার্তিক মাসে রোপন করা হয়। এছাড়া দানা বীজ ফেলে চারা গাছ করে পরে সেই চারা রোপনের মাধ্যমে যে পিয়াজ চাষ করা হয় তাকে আল পিয়াজ বলা হয়। এই পিয়াজ সাধারত কার্তিকের শেষে আগ্রহায়ন পৌষ মাসে চাষ করা হয়। বর্তমানে এই পিয়াজ রোপনেই কৃষকরা এখন উঠে পড়ে লেগেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে বাগমারায় এবার ৪ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে আল পেয়াজ রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় এবং অনুকুল আবহাওয়ার কারণে এবার পিয়াজ চাষ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খামার গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার জানান, তিনি এবার ১৫ কাঠা জমিতে আল পেয়াজ রোপন করেছেন। প্রতি কাঠায় তার বীজ, সার সেচ, কীটনাশক ও শ্রমিক মিলে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২ হাজার টাকা। তার মতে এখানে আবহাওয়া অনুকুল থাকলে প্রতি কাঠায় ৪ মণ হারে পিয়াজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান বাজারে পিয়াজের দর প্রতি কেজি ৮০ টাকা। উপজেলার কৃষক জব্বার, মমিন,রাজ্জাক,হাছেন ও রফিকসহ স্থানীয় কৃষকদের মতে,এই আল পেয়াজ উঠার সময় পিয়াজের বাজার দর বর্তমানের চেয়ে অর্ধেকে নেমে আসলেও তারা পিয়াজ চাষে লাভবান হবে। তবে এবার পিয়াজের বাজার দর খুব একটা কমবে না বলে তারা আশা করছেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুর রহমান জানান, বাগমারায় পিয়াজ চাষের জন্য এখানকার মাঠি ও আবহাওয়া বেশ অনুকুল থাকায় এখানে পিয়াজের বাম্পার ফলন হয়। এই পিয়াজ বেশ মানেও ভাল। তার মতে,কৃষকের দিক চিন্তা করে সরকার এবার এবার বিদেশ থেকে পিয়াজ আমদানী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে আশা করা যায় এই পিয়াজের চাষ করে কৃষক এবার লাভের মুখ দেখতে পারবেন।#