পুষ্টিগুণে ভরা ও পরিবেশ সম্মত সুস্বাদু ডাল মটরসুটির চাষ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় দ্বিগুণ হাওে বেড়েছে। অল্প খরচ ও বিষমুক্ত সুস্বাদু মটরসুটি পাঁচগুন লাভ হয় চাষে। চলতি মৌসুমে মটরসুটির ফলনও হয়েছে ভাল। মটরসুটি চাষে কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান বাড়ছে চাষ। মটরশুটি একদিকে যেমন গ্রামের মানুষের কর্মসৃষ্টি হচ্ছে তেমনি আরেক দিক হচ্ছে আয়।
এরফলে এই মটরসুটি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষক কৃষানীরা। মাঠে মাঠে সারিবদ্ধ হয়ে আনন্দের মধ্যে নারী শিশু শ্রমিকরা তুলছে মটরসুটি। মটরসুটি তুলে নারী শ্রমিকেরা ছেলে মেয়েদের স্কুলে ভর্তিসহ গৃহস্থলির আসবাবপত্র ও শীতের কসমেটিকস কিনছেন নারী শ্রমিকরা। সংসারে আসছে বাড়তি আয়। দিনে ২০ থেকে ২৪ কেজি মটরসুটি তুলে ২ থেকে ৩শ টাকা উপার্জন হচ্ছে বলে জানায়, নারী শ্রমিকরা। উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া, তেলীপুকুর, পলাশী, চেউখালী, উদপাড়া, তালতলী, মির্জাপুর, রামরামা গ্রামের মটরশুঁটি কালাই চাষীরা বলেন, বিভিন্ন শবজির পাশাপাশি মটরশুটি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে তারা। একবিঘা জমিতে ৬ হাজার টাকা খরচে মটরসুটি চাষে পাওয়া যায় ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা। এছাড়া একই জমিতে হয় তিনটি ফসল ফলে লাভবান হচেছন তারা। এছাড়া বীজ বপণের অন্তত ৭০ দিন পর থেকেই গাছে ফল পাওয়া যায়। বিঘা প্রতি ৩০/৩৫ মণ মটরশুটি পাওয়া যায়। ফল আসার পর প্রতি সপ্তায়ে খেত থেকে ফল উঠানো যায়। এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার মটরশুঁটির চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। ফলন ও দাম ভাল পাচ্ছে চাষী। মিটছে পুষ্টির চাহিদা খাইতে সুস্বাদু পুষ্টিগুনে ভরা মটর সুটি চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। সার কীটনাশক ও পানি ছাড়ায় হয় মটরসুটি। মটরসুটি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত মটরসুটি রফতানি হয় দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। এবিষয়ে বাগমারা উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা জানান,কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা মটরশুটি আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এবার মটরশুটির বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া জমিতে শুধু টিএসপি ও পটাশ সারের প্রয়োজন হয়। সেচের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। তিন দফায় গাছ থেকে মটরশুটি সংগ্রহ করা হয়।