রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় অবশেষে আলোচিত জাবের বাহিনীর প্রধানসহ ছয় ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কথিত জাবের বাহিনীর প্রধান জাবেরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের জাবের বাহিনীর প্রধান জাবের আলী (৪৫),তার দেহরক্ষী একই গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০),খয়রা গ্রামের শ্রী বিনয় চন্দ্রের ছেলে শ্রী নারায়ন চন্দ্র সাহা (৩৯), বীরকয়া গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হক (৩৬), একই গ্রামের সাবের আলীর ছেলে সামসুদ্দিন (৩৫) ও মন্দিয়াল গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে জাফর আলী (৪৬)। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান জানিয়েছেন। পুলিশ ও এলাকার লোকজন জানায়, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের জাবের আলী কয়েকটি গ্রামের মধ্যম বয়সী ছেলেদের নিয়ে একটি ঠ্যেঙ্গারা বানিহী গঠনের মাধ্যমে এলাকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম কওে আসছিল। তার অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে বাগমারা থানা ও রাজশাহীর আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরপরই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ওই সকল ব্যক্তিদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার হাত থেকে এলাকার মা বোনরা রক্ষা পায়না বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন। ওই সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় দৈনিক ডেল্টাটাসমসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। আর সংবাদ প্রকাশের পরে নড়েচড়ে বসে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। এবং জাবের ও তাদের বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিভিন্ন অভিযান শুরু হয়। পুলিশের অভিযানে বাহিনীর প্রধান জাবের আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধির কারনে জাবের আলীসহ তার বাহিনীর ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, জাবের আলীসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে হলুদঘর গ্রামের জালাল উদ্দীন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে জাবের আলীসহ তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেন। এবং ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।