ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ উভয় গ্রুপের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৩ টি ককটেল ছোড়া হয়।
জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ক্যাম্পাসে আসার সংবাদ পেয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় পদঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা। সভাপতি ও সম্পাদককে প্রতিহত করতে সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে টেন্টে অবস্থান নেয় তারা। অপরদিকে সভাপতি ও সম্পাদককে গ্রহণ করতে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী।
এর আগে সকাল সোয়া ১১ টায় দলীয় টেন্ট থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। সেখানে এক দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের কয়েকজনকে মারধর করে পদবঞ্চিতরা। এখানে ৩ জন আহত হয়। পরে তারা প্রায় ১ ঘন্টা কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট অবরোধ করে তারা।
এবিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণার জন্য ক্যাম্পােসে যাই। কিন্তু আমার ক্যাম্পাসে পৌঁছানের আগেই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এর প্রতিবাদে মিছিল বের করলে আমার ওপরও হামলা করা হয়। এতে ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক রাকিব গুরুতর আহত। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘যেকোনো ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, র্যাব ও গোয়েন্দা বাহিনী মাঠে রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে’