অবশেষে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক এর নির্দেশে প্রায় দেড়মাস পর সারপুকুর ইউনিয়নের বিষাদী রানী (২০) নামের এক কিশোরীর মামলা রেকর্ড করলেন আদিতমারী থানার ওসি। এর আগে প্রায় দেড়মাস ওই কিশোরী থানায় অভিযোগ করলে আমলে নেননি তিনি। যার মামলা নং ১০ তারিখ-২১/১২/২০১৯ইং। জিআর নং ২৯৪/১৯ (অ)। মামলার আসামীরা হচ্ছে. আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের তালুক দুলালী (ঝিিড়রঝাড়) গ্রামের (১)দীনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে ভবেশ চন্দ্র রায়(২) মৃত কেরক্যাট বর্মনের ছেলে দীনেশ চন্দ্র রায় (৩) দীনেশ চন্দ্রের স্ত্রী আয়মালা রানী (৪) মকন্দরাম বর্মনের ছেলে উপেশ্বর বর্মন ( গ্রেফতার বর্তমানে জেলহাজতে) ও (৫) কুকন্দ রাম বর্মনের ছেলে নলীনি কান্ত রায়। অপর আসামীরা পলাতক। মামলা সুত্রে জানাগেছে, প্রায় ১ বছর যাবত আসামী ভবেশ চন্দ্র ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কুৃড়িগ্রাম জেলার আদালতের নোটারী পাবলীকের মাধ্যমে ২৯/০৮/২০১৯ ইং বিবাহ এফিডেভিট করেন। পরে সনাতন ধর্ম অনুযায়ী মন্দিরে যেয়ে কিশোরীর সিদুর পড়িয়ে বিবাহ সম্পন্ন করেন। সেময় থেকে ভবেশ চন্দ্র রায় কিশোরীর বোনের বাড়ীতে নিয়ে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। পরে ভবেশ চন্দ্র স্ত্রীকে বাড়ীতে তোলার কথা বলে ৪ লাখ টাকা যৌতক দাবী করেন। কিশোরীর বাবা ও ভাই নাই এবং মা প্রতিবন্ধি বিধায় দাবীকৃত যৌতুক দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে ভবেশ চন্দ্র তার বাবা মা ও উলেখিত আসামীদের প্ররচনায় অন্যখানে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এখবর পেয়ে ওই কিশোর স্ত্রীর দাবী নিয়ে ০৪/১২/২০১৯ইং তারিখে বেলা ১১টার সময় ভবেশ চন্দ্রের বাড়ীতে গেলে তারা ওই যৌতুকের কথা উলেখ করে। কিশোরী তা দিতে অপরাগতা জানালে উলেখিত আসামীদের হুকুমে ভবেশ চন্দ্র ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে কোপ দিলে তার হাতে লেগে রক্তাক্ত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর থানায় অভিযোগ করলে কোন প্রতিকার না পেয়ে পুলিশ সুপারের নিকট বিচারের জন্য দারস্ত হয়। পুলিশ সুপার বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বাক্ষ্যপ্রমানে আদিতমারী থানার ওসিকে মামলা নিতে নির্দেশ দেন। এব্যাপারে আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।