সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দুলর্ভপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের পরিত্যক্ত বাড়ীর পুকুরে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মখাই মিয়া ও নুরুন নবী নামের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য গ্রেফতারকৃতদের ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মাখাই মিয়া বিশ্বনাথ উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের জহুর আলীর পুত্র। এবং নুরুন নবী ফেনী সদর উপজেলার মধ্যম নয়াগাঁও গ্রামের আবুল কালাম আজাদের পুত্র ও লামাকাজী বাজারের বর্তমান বাসিন্দা।পুলিশ সুত্র জানায়, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে আব্দুল গফুরের পরিত্যক্ত বাড়ীর পুকুরে ১৬ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে আনুমানিক ২৫ বছরের এক কিশোরীর লাশ দেখতে পান লোকজন। পরে বিশ্বনাথ থানায় খবর দিলে এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় লাশের কোমরে চাবির জুটা পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি দাফন করা হয়। পরে ওসমানীনগর সার্কেল (এএসপি) সাইফুল ইসলাম’সহ গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্নভবে তদন্ত করেন। এঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে গত ১৪ ডিসেম্বর মাখাই মিয়াকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন ১৫ ডিসেম্বর লামাকাজী বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় নুরুন নবীকে। নুরুন নবী লামাকাজী বাজারে বর্তমানে গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন। মখাই মিয়া তার বাড়ীতে নুুরুন নবীর মাধ্যমে মহিলাকে রাখে এবং নানা অপকর্ম চালায় বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের সন্দেহ তারা অজ্ঞাত মহিলাকে হত্যা করে পুকুরে রাখতে পারে।মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে শুনানী শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মখাই মিয়া ও নুরুন নবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রশাদ চক্রবর্তী।