একটি ব্রীজের জন্য অপেক্ষা ২০ বছর। তারপরও মিলছে না ব্রীজ। অবশেষে এলাকাবাসীর চাঁদার টাকায় তৈরি বাঁশের সাকো দিয়েই ঝুঁকি পূর্ণ ভাবে পারাপার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সর্ব সাধারণের। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ওয়াবদা বাজারের পাশে নন্দকুঁজা নদীতে অবস্থিত এই বাঁশের সাকো। গুরুদাসপুর উপজেলার নন্দক‚জা নদীর পশ্চিম অংশে এই সাঁকোটি গুরুদাসপুর-সিংড়া এই দুই উপজেলাকে বিভক্ত করেছে। উভয় পারের মানুষের পারাপারের জন্য নেই কোন সেতু-ব্রীজ। এলাকাবাসির নিজ উদ্যোগে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকোতেই ১০ গ্রামের মানুষ ঝুকি নিয়ে পারাপার হন। ব্রীজ না থাকায় এই ঝঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভর করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে চলাচল করতে হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পারাপার হয়ে আসছে সীমান্তবর্তী এই দুই উপজেলার মানুষ। এই ঝঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো এখন এই এলাকার ১০টি গ্রামের মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র ভরষা।
সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নন্দক‚জা নদীর গুরুদাসপুর অংশের ওয়াবদা বাজারে বসেছে হাট। সপ্তাহে দুই দিন এই হাটে সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে। গুরুদাসপুর অংশে শ্যামপুর, কুঠিপাড়া, চন্দ্রপুর, ঠাকুরপাড়া, ময়মনসিংহ পাড়া এবং সিংড়া অংশের মাটিকোবা, শালিখা, চামারি, মন্ডলপাড়া, টলটলিপাড়ার মানুষরা এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে।
সেতু পরিচালনা কমিটির ক্যাশিয়ার মোঃ আকতার হোসেন বলেন, ছোট বেলা থেকে কেবল শুনে আসছি এখানে একটি ব্রীজ হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, চলাফেরা, হাটে পন্য আনা-নেওয়া অনেক কষ্ট হয়। অসুস্থ্য রোগীকে সময়মত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনা। তাই আমরা এলাকাবাসী মিলে নিজেদের চাঁদার টাকায় এই বাঁশের সাকোটি তৈরি করেছি।
সেতু পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শাজাহান আলী বলেন, এই এলাকায় একটি ব্রীজ না হওয়ায় আমারা পিছিয়ে যাচ্ছি। চলাচলের জন্য এলাকাবাসীর চাঁদার টাকা প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা এবং ৫০০ বাঁশ সংগ্রহ করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও প্রতি বছর সংস্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা। অতি দ্রুত এখানে একটি ব্রীজ দরকার।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু বলেন, ওই জায়গাতে ব্রীজ নির্মাণ অতি প্রয়োজন। ব্রীজের নির্মানের প্রস্তাব সংশ্লীষ্ট কর্তপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলী আ.ন.ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শণ করে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে