৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পাক হানাদার মুক্ত দিবস। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা‘৭১-এর দিনগুলো ছিল দুর্বিষহ যন্ত্রণার। ১৯৭১সালের ৮ডিসেম্বর শসস্ত্র সংগ্রাম করে পাক হানাদার বাহিনীকে বিতারিত করে শত্রæমুক্ত করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এর আগে হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করে ও পাক-বাহিনীর নির্যাতনে শহীদ হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিকামী নারী-পুরুষ। নিজেদের ইজ্জত হারিয়ে ছিলেন অনেক মা-বোন। নির্যাতন আর নিপিড়নের স্থানগুলো আজও রাজ স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে জেলাবাসীর কাছে। যারা ভেতরে ছিলেন তাদের প্রতিটি মুহূর্ত কেটেছে মৃত্যুভয় নিয়ে। পথে পথে ছিল শত্রুদের বিছানো কাঁটা। রাতে থাকতে হয়েছে মাটির বাংকারে। কাছের মানুষকে বিশ্বাস করতেও ভয় হয়েছিল অনেকের। সবাইকে থাকতে হয়েছে বিভীষিকাময় অন্ধকারে কিংবা বাংকারে নয়তো বাঁশঝাড়ের ভেতর অন্ধকারে গিয়ে শুনতে হয়েছিল স্বাধীন বাংলা বেতারের খবর। ৭১ সালের ৩০এপ্রিল থেকে ৭ডিসেন্বর পর্যন্ত পাকিস্থান পাক হানাদার বাহিনী মৌলভীবাজারে হত্যা করেছিল অগনিত নীরপরাধ মানুষকে। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অপারেশনে বহুমূখী দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ৭ডিসেম্বর পাক বাহিনী মৌলভীবাজার থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন আর তর-তাজা প্রানের বিনিময়ে মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয়েছিল। ৮ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন সময়ে মৌলভীবাজার মহকুমা কার্যালয় (বর্তমান জর্জ কোট) প্রাঙ্গনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ছিলেন আনুষ্টানিক ভাবে। স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার সাধরন মানুষের দাবী, দেশ স্বাধীন হয়েছে দীর্ঘদিন কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের চাদাঁয় বিভিন্ন দিবস পালন করে আসছেন। মুত্তিযোদ্ধাদের যথাযত মর্যাদা ও মুল্যয়ন আসবে এই আশায় আছেন তারা। অনেক স্বপ্ন আর বুখ ভরা আশা নিয়ে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ দেশে শান্তি ও সূখ দেখেছিল কিন্তু আজও দেশ মাতৃকার জন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন ও যারা জীবিত আছেন তাদের স্বপ্ন পুরনে কারো মাতা ব্যাথা নেই। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের আশা,স্বপ্ন পুরনে সরকার এগ্রিয়ে আশবেন । তাছাড়া আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধের সটিক ইতিহাস পাঠ্য পুস্তকে ও লিপিবদ্ধ করবেন সরকার এই প্রত্যাশা ।স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, একটি স্বাধীন দেশ ও একটি পতাকার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ছিল এদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি কিন্তু তা এখনো পূরন হয়নি। কব্ে পুরন হবে ও ন্যার্য দাবী কবে পাবো জানিনা। আশা করি সরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদেও পরিবার ও যারা আজও বেচে আছেন তাদের প্রতি সু-দৃষ্টি রাখবেন। এবাপারে মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান জানান, পাকবাহিনীর নির্যাতনের স্বাক্ষী হয়ে আছে এ জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের এতিহাস ঐহিত্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশ গ্রহন করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেন করেন। অনেক বধ্যভূমি রয়েছে যা এখনো সনাক্ত করা হয়নি। বধ্যভূমি,গনহত্যার স্থান সংস্কার ও সংরক্ষন সহ যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা যথাযথ মর্যাদা পাবে। এবাপারে মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী এমপি জানান, ২৮ নভেম্বর থেকে ৭১সালে মহান মুক্তিযোদ্ধে গেরীলা যুদ্ধ চালাই। পরবতীতে জেলা বিভিন্ন স্থান মুক্ত করে ৭ ডিসেম্বর রাতে মুক্ত হয় মৌলভীবাজার। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরন করেন। জেলায় পাকীস্থানীদের নির্মম তান্দবলীলা চালালে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্ত অবস্থান থাকায় পাকীস্থিানী বাহীনি পরাজিত হয়।যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু, আজও এসব কাংকিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও যারা বেছে আছেন তাদের প্রতি সু-দৃষ্টি প্রয়োজন। দেশের বীর সন্তানদের যথাযথ মর্যাদা ও গনগবরগুলোকে সংরক্ষন এবং আগামী প্রজন্মকে সটিক ইতিহাস জানাতে জোর দাবী জানান নতুন প্রজন্ম ও মুক্তিযোদ্ধারা এবং তাদের পরিবার।