জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগাণে শনিবার সকালে ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদ্যাপন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের রিয়েক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিশ্বে প্রবেশ করে এবং বিশ্ব পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব পারমাণবিক ক্লাবের ৩২ তম সদস্য রাষ্ট্র। দিনটির তাৎপর্য বিবেচনা করে তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদযাপন উপলক্ষ্যে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে রূপপুরে দিনব্যাপী কর্মসূচীর আয়োজন করে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগাণ উচ্চারণ করে বেলুন উড্ডয়ন ও পায়রা অবমুক্ত করণের মাধ্যমে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেন। এসময় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক, প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, এএসই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর প্রকল্পের রাশিয়ান প্রকল্প পরিচালক সের্গেই লাসতোচকিন, ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টুসহ প্রকল্পের সকল পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধ রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। তাই এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে প্রতিবছর ‘নিউক্লিয়ার ডে’ হিসেবে উদ্যাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হবে।’
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, এ বছরে আমরা দিবসটিকে সীমিতভাবে পালন করব। দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমরা এই দিনে নিউক্লিয়ার বিশ্বে পদার্পণ করেছি। এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে প্রতি বছর উদ্যাপনের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব।
দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে র্যালি ছাড়াও প্রদর্শনী, আলোচনা, প্রেজেন্টটেশন উপস্থাপনা, দেশীয় খেলাধূলা, টিকাদান কর্মসূচি এবং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: রাশিয়ার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে। রাশিয়ার সর্বাধুনিক সর্বশেষ প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প নবভরনেস বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেফারেন্স থার্ড প্লান্ট জেনারেশনের এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। দুই ইউনিট বিশিষ্ট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার ৩ জি+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়েক্টর স্থাপন করা হবে।