গুরুদাসপুরে প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েরাই এগিয়ে

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থী বালকের চেয়ে বালিকারাই বেশি। প্রতিবন্ধী ব্যতীত ৫ থেকে ১০ বছর বয়সের শিশুরাও বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি হয়েছে। এক্ষেত্রেও মেয়েরা এগিয়ে আছে বলে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।
চলতি বছর উপজেলাব্যাপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেট সূত্র অনুযায়ী- উপজেলায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ব্যতিত ৪ থেকে ১৫ বছর বয়সের মোট শিশুর সংখ্যা ৫৭ হাজার ১৯০ জন। এর মধ্যে বালক ২৭ হাজার ৮২৯জন ও বালিকা ২৯ হাজার ২৯৩ জন। বালকের চেয়ে বালিকা ১ হাজার ৪৬৬ জন বেশি। জরিপকৃত শিশুদের মধ্যে প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ৩৭০০ জন। এরমধ্যে বালক ১৭৭৬ ও বালিকা ১৯২৪ জন। ১ম থেকে ৫ম শ্রেনিতে বালক ১১ হাজার ৩৯৬ ও বালিকা ১২ হাজার ৬৮৯ জনসহ মোট ২৪ হাজার ৮৫ জন ভর্তি হয়েছে। ভর্তিকৃত বালকের চেয়ে বালিকা ১ হাজার ৩‘শ জন শিক্ষার্থীই বেশি।
আরও জানা যায়, গুরুদাসপুরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) ৪ থেকে ১৫ বছরের শিশু বালক ৫১ জন ও বালিকা ৫৬ জনসহ মোট ১০৭ জন। এর মধ্যে সহনশীল মাত্রায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর সংখ্যা বালক ৪১ ও বালিকা ৪৮ জনসহ মোট ৮৯ জন। যার শতভাগ শিশুই ১ম থেকে ৫ম শ্রেনিতে ভর্তি হয়েছে। ১১ জন তীব্র মাত্রায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। ৪টি ক্লাষ্টরের ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেট এরিয়ায় প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেনিতে ভর্তিযোগ্য শিশুদের জরিপ করে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়। ৪ থেকে ১৫ বছর বয়সের এসব শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদাও পুরন করা হচ্ছে।