ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হঠাৎ করে পাগলা কুকুরের কামড়ে কমপক্ষে ৩২ জন আহত হয়েছে। উপজেলার ৩টি গ্রামে বিকালে এ পাগলা কুকুরের অব্যহত হামলা ও কামড় দেয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে হাসপাতালে জলতঙ্ক রোগের টিকা না থাকার কথা জানিয়েছেন ডাক্তার । তাদের বাইরে থেকে টিকা কিনতে হচ্ছে । জলাতঙ্ক রোগের জীবানু থেকে সংক্রামিত হলে এটি ভয়ের কারণ হতে পারে বলেও মন্তব্য ডাক্তারদের।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিপ্রবগদিয়া, পাইকপাড়া, নওপাড়া গ্রামের ভেতর হঠাৎ করেই শুক্রবার দুপুরে ঢুকে পড়ে একটি পাগলা কুকুর। ক্ষিপ্রগতিতে যাওয়ার সময় কুকুরটি যাকে পায় তাকেই কামড়াতে ও হামলা করতে থাকে। বাড়ি-ঘরে শিশু, গৃহবধু, রাস্তাঘাটের যুবক কেউ রেহায় পায়নি এই কুকুরের কামড় থেকে। ৩০ থেকে ৩৫/৪০ জন কে কামড় দিয়েছে ৩টি গ্রামের বাসিন্দা কে। ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে এলাকাবাসী বিকালে কুকুর টি মারতে সক্ষম হয়।
বিপ্র-বগদিয়া গ্রামের মুক্তারের স্ত্রী সোহাগী খাতুন, দিলবার হোসেনের স্ত্রী শরিফা খাতুন, আবু সাইদের স্ত্রী পলি খাতুন সহ অনেক কে কামড় দেয় পাগরা কুকুরে।
এদিকে দুপুরের পর থেকে একের পর এক কুকুরে কামড়ের রোগী আসতে থাকে হাসপাতালে । তবে হাসপাতালটিতে নেই জলাতঙ্ক রোগের টিকা । ডাক্তাররা প্রাথমিক ভাবে এন্টিবায়েটিক সহ সাধারণ চিকিৎসা দিচ্ছেন। একই সাথে দীর্ঘ মেয়াদি জলাতঙ্ক রোগের টিকার জন্য প্রেসক্রিপসান করছেন। অনেকে ঝিনাইদহ হাসপাতাল সহ অন্যান্য স্থানে গিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করছেন ।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল সাজ্জাদ জানান, অনেকে মারাত্মক ইনজুরির শীকার হয়েছে। কুকুরে কামড়ানো ক্ষত-বিক্ষত জায়গাতে সেলাই দেয়া যায় না। এই কামড় ও আক্রমন ভীতিকর বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকগন। জলাতঙ্ক রোগের জীবানু থেকে সংক্রামিত হলে এটি ভয়ের কারণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ডাক্তার ।